Advertisement
১৯ মার্চ ২০২৪
Entertainment News

‘পদ্মাবত’ মুক্তি বন্ধ না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন রাজপুত মহিলারা

গত রবিবার রাজস্থানের চিতোরগড়ে প্রায় ৫০০ রাজপুত মহিলা একটি ‘স্বাভিমান’ মিছিল বের করেন। সেই মিছিল থেকেই তাঁরা স্লোগান তোলেন, পদ্মাবত মুক্তি বন্ধ করতে হবে।

‘পদ্মাবত’-এর একটি দৃশ্যে দীপিকা। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

‘পদ্মাবত’-এর একটি দৃশ্যে দীপিকা। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ১৪:১৮
Share: Save:

মুক্তির বাকি তিন দিন। তার মধ্যেই ‘পদ্মাবত’ বিতর্কে নতুন মোড়। সঞ্জয় লীলা ভংসালীর এই ছবির মুক্তি বন্ধ না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন রাজপুত মহিলারা।

গত রবিবার রাজস্থানের চিতোরগড়ে প্রায় ৫০০ রাজপুত মহিলা একটি ‘স্বাভিমান’ মিছিল বের করেন। সেই মিছিল থেকেই তাঁরা স্লোগান তোলেন, পদ্মাবত মুক্তি বন্ধ করতে হবে। না হলে তাঁদের আত্মহত্যায় অনুমতি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করেছেন তাঁরা। এই মর্মে শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁরা পিটিশন দাখিল করবেন বলেও জানিয়েছেন।

ওই দিনের মিছিলে থাকা রাজপুত মহিলাদের দাবি, ভংসালীর ছবিতে রাজস্থানের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। ওই অঞ্চলের মানুষের ভাবনায় আঘাত করা হয়েছে। যদিও আগেই এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিলেন পরিচালক স্বয়ং।

আরও পড়ুন, পথে পথে বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে মুক্তির পথে ‘পদ্মাবত’

‘পদ্মাবত’ টিমের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, পাঁচশো বছর আগে সুফি কবি মালিক মহম্মদ জয়েশের লেখা একটি কবিতা অবলম্বনে এই ছবি তৈরি হয়েছে। যেখানে চিতোরের রানি পদ্মিণীর এই জহরব্রত পালনের কথা লেখা ছিল। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে চিত্রনাট্য।

আরও পড়ুন, ‘পদ্মাবত’-এ দীপিকার পেটের অনাবৃত অংশ কি ঢাকা পড়ল?

কিন্তু রাজপুত করণী সেনা প্রথম থেকেই এই দাবি মানতে নারাজ। শুটিংয়ের সময় থেকেই তারা বিরোধিতা করে এসেছেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আগামী ২৫ জানুয়ারি গোটা দেশে মুক্তি পাবে ‘পদ্মাবত’। এর পরেও বিক্ষোভ অব্যাহত।

আরও পড়ুন, বিন্দুতে বিঁধে অবচেতনে হানাদার পদ্মাবত-ই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE