সম্প্রতি আইআইটি হায়দরাবাদে একটি সভায় যোগ দান রাম চরণের স্ত্রী উপাসনা কামিনেনী। সেখানে গিয়ে তিনি তরুণ প্রজন্মের মেয়েদের বেশি করে নিজেদের ডিম্বাণু সংরক্ষণের আর্জি জানান। আর তার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা। উপাসনা নাকি ব্যবসা ছাড়া কিছুই বোঝেন না, দাবি নেটপাড়ার একাংশের।
সভায় বসে উপাসনা প্রশ্ন করেন, কারা কারা বিয়ে করতে চান? তারকাপত্নী বলেন, ‘‘আমি দেখলাম ঘরে উপস্থিত মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের হাতের সংখ্যা বেশি। অর্থাৎ দেশ বদলাচ্ছে। এটা অগ্রগতির লক্ষণ।’’ সেই প্রসঙ্গে উপাসনা বলেন, ‘‘মেয়েরা নিজেদের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করুন। এটা জীবনের সব থেকে বড় শান্তি।’’ উপাসনার যুক্তি, এই নিরপত্তা থাকলে মেয়েরা নিজেদের জীবন নিজেরাই চালনা করতে পারবে। কোন সময় বিয়ে করতে হবে? কোন সময় সন্তানের জন্ম দিতে হবে? এ সব বলে দিয়ে কেউ আর তাদের চালনা করতে পারবেন না বলেই দাবি উপাসনার।
তারকাপত্নীর এই কথায় অবশ্য সমাজমাধ্যমের একটা বড় অংশ রে রে করে উঠেছে। অনেকেরই দাবি, উপাসনা এখানে এক বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের মতো কথা বলছেন। কেউ লিখেছেন, ‘‘উনি আসলে ‘আইভিএফ’ বিক্রি করতে এসেছেন।’’ কারও মতে, ‘‘ত্রিশ বছর বয়সের পর মহিলাদের গর্ভপাতের বিষয়টি একেবারেই উপেক্ষা করলেন। ডিম্বাণু সংরক্ষণ করলেই তা সম্পূর্ণ সফল হবে, এমন নয়।’’ কেউ কেউ উপাসনার ব্যক্তিগত জীবন টেনে এনেছেন। তাঁদের মতে, ‘‘নিজে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেও ২৩ বছর বয়সে কেন বিয়ে করলেন?’’ যদিও সমাজমাধ্যমে এ হেন সমালোচনায় এখনও মুখ খোলেননি উপাসনা।