Advertisement
E-Paper

ফুটপাথে রাত কাটিয়ে বদ লোকের ফাঁদেও পড়েছি, অকপট কঙ্গনা

নায়িকাদের জীবনের সব কিছুই যে মধুর নয়, তা পরিচালক ভান্ডারকর নানা ভাবে দেখিয়েছেন তাঁর ছবিতে। তাঁর ছবিতেই দেখা গিয়েছিল সাফল্যের চূড়ায় থাকা এক মডেলের ড্রাগের নেশায় হারিয়ে গিয়ে ফুটপাথে জীবনযাপন। ২০০৮ সালে চরিত্রটিতে অভিনয়ের সময়ে কিছু না জানালেও এ বার কঙ্গনা রানাউত জানালেন, তিনিও এক সময়ে ফুটপাথে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৫:১৩
ছবি: গেটি ইমেজেস।

ছবি: গেটি ইমেজেস।

নায়িকাদের জীবনের সব কিছুই যে মধুর নয়, তা পরিচালক ভান্ডারকর নানা ভাবে দেখিয়েছেন তাঁর ছবিতে। তাঁর ছবিতেই দেখা গিয়েছিল সাফল্যের চূড়ায় থাকা এক মডেলের ড্রাগের নেশায় হারিয়ে গিয়ে ফুটপাথে জীবনযাপন। ২০০৮ সালে চরিত্রটিতে অভিনয়ের সময়ে কিছু না জানালেও এ বার কঙ্গনা রানাউত জানালেন, তিনিও এক সময়ে ফুটপাথে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। তা-ও সেটা এক-দু’রাতের ব্যাপার ছিল না— বেশ অনেক দিনই মুম্বইয়ে ফুটপাথবাসীর জীবন কাটিয়েছেন তিনি।

আসলে এই মুহূর্তে খ্যাতির শীর্ষে থাকা কুইন সম্প্রতি মন দিয়েছেন জীবনের হিসেব-নিকেশে। তিনি আছেন মানেই ছবি হিট— এমনটাই ধরে নিচ্ছে বলিউড। ছবি যে রকমই হোক না কেন, শুধু তাঁকে দেখতে গিয়েই ভক্তরা পয়সা তুলে দিচ্ছেন পরিচালক-প্রযোজকের ঘরে। তবে শুরুটা যে আদৌ এ রকম ছিল না, তারিয়ে তারিয়ে সাফল্য উপভোগের মাঝেই জানালেন কঙ্গনা।

“আজকের মসৃণ জীবনযাত্রার থেকে অনেক অনেক দূরে ছিল শুরুর সেই দিনগুলো! মুম্বইয়ে আমি বিমানের প্রথম শ্রেণি থেকে বেরিয়ে পা রাখিনি!”— সাফ জানাচ্ছেন কঙ্গনা। ছোট শহরের মেয়ে হিসেবে মুম্বইয়ে যে ধাক্কা খেতে হয়, তার সব কটাই কপালে জুটেছিল তাঁর। সেই সময়ে শীততাপনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চড়ে শহর সফরের কথা কল্পনাও করতে পারতেন না নায়িকা। “এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হলে সেই সময়ে বাসে বা ট্রেনে গিয়েছি। কখনও কখনও পয়সার অভাবে তা-ও পারতাম না। তখন উপায় বলতে কেবল হাঁটা”, বলছেন কঙ্গনা।

আর ফুটপাথের জীবন?

“পয়সা ছিল না বলে ওই সময়টায় ঘর ভাড়া নিতে পারিনি। তাই ফুটপাথেই থাকতাম। এখন ফুটপাথে একটা মেয়ে থাকলে তাকে যে ভাবে হেনস্থা হতে হয়, আমার সঙ্গেও তাই হয়েছিল। আমি বদ লোকেদের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলাম। বাধ্য হয়ে সেই সময়টায় আমায় পুলিশের কাছে যেতে হয়। জীবনের অন্ধকার দিক আমি কম দেখিনি”, স্বীকারোক্তি নায়িকার!

তবে ঠিক পরের মুহূর্তেই নায়িকার হাসি ফের প্রমাণ করে দিল, জীবনে নিরবচ্ছিন্ন অন্ধকার বলে কিছু থাকে না। “ওই অন্ধকার দিকের পাশাপাশিই দেখুন, আমি দু’বার রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছি। তা ছাড়া আজ আমি বলিউডের সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী”, হাসতে হাসতে কবুল করে নিলেন কঙ্গনা।

আর জানালেন, ভেঙে না পড়ে বাধাগুলোকেই সুবিধে হিসেবে নিয়েছিলেন বলেই জীবনে এতটা এগোতে পেরেছেন তিনি।

“আমার চুল কেন কোঁকড়া, আমার চোখ কেন নীল নয়, আমি কেন আর একটু লম্বা হলাম না— এ সব নিয়ে কখনওই মাথা ঘামাইনি। বরং এগুলোকেই সম্বল করেই এগোতে চেয়েছিলাম। যা আছে, সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম সেগুলোকেই। ব্যস, তার পরেই ধীরে ধীরে জীবনটা অনেক সহজ হয়ে গেল”, বলছেন কুইন!

Kangana Ranaut bollywood actress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy