লুকা ছুপি
পরিচালনা: লক্ষ্মণ উতেকার
অভিনয়: কার্তিক, কৃতী, অপারশক্তি, বিনয়, পঙ্কজ ৫/১০
কমবয়সি সুশ্রী তরুণ-তরুণী। নতুন নতুন প্রেমে পড়েছে। পরিবারকে লুকিয়ে লিভ ইন করছে। ছোট ছোট রোম্যান্টিক দৃশ্য, একটু খুনসুটি, অনেকটা আদর... এই ছবি তো ভাল হওয়ারই কথা! কিন্তু তা কি হল?
ছবির গল্প অনুযায়ী যা-যা দরকার ছিল, তা ছিলই। এক দিকে হ্যান্ডসাম গুড্ডু (কার্তিক), অন্য দিকে লাস্যময়ী রশ্মি (কৃতী)। সঙ্গে তাদের মজার পরিবার। সব মিলিয়ে সপ্তাহান্তে ফ্যামিলি প্যাক। তার মধ্যে জায়গায় জায়গায় গুঁজে দেওয়া কমেডি। কিন্তু হাজার সুদ দিলেও আসলেই লগ্নি কম হয়ে গিয়েছে। কার্তিক আর কৃতীর প্রেমটাই জমল না! তাঁদের রসায়ন দেখে মনে হল যেন ছবির স্বার্থেই তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রেম করছেন। প্রেম তাঁদের চোখে-মুখে ফুটে উঠল না। আর বিনয় পাঠক, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর মতো সাবলীল অভিনেতাদের মাঝে কার্তিক একেবারেই কাঁচা! ছবির আগাগোড়া তাঁর অভিব্যক্তিতে কোনও বদল নেই। দুঃখ, রাগ, অভিমান, বিরক্তি, ভয়... সবেরই একই চেহারা। অভিনেতা হয়ে উঠতে তাঁর এখনও ঢের দেরি।
তবে পরিচালকের প্রথম ছবি হিসেবে এই প্রয়াস চলনসই। সারা ছবি জুড়ে হাসির রসদ তো জুগিয়েছেন। ফলে চিত্রনাট্য তেমন জোরালো নয়, তবে হল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার মতোও নয়। আর উল্লেখ করতে হয় ছবির মুখ্য চরিত্র বাদে বাকি অভিনেতাদের কথা। যে মহিলা গুড্ডু-রশ্মির উপরে গোয়েন্দাগিরি করে বা গুড্ডুর দাদা-বৌদির ভূমিকায় চরিত্রাভিনেতারাও যথাযথ। এমনকি গুড্ডুর ভাইপোর চরিত্রে চিকু নামের বছর সাতেকের বাচ্চাটির অভিনয়ও বেশ সাবলীল মনে হল। তবু একটাই প্রশ্ন, শেষমেশ বিয়েই যদি লক্ষ্য হয়, তা হলে লিভ ইন কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy