বিয়ের দিন দম্পতি।
বিয়ে করলেই নাকি নায়িকাদের কেরিয়ার শেষ? এ হেন ধারণা এখনও রয়েছে ইন্ডাস্ট্রির আনাচে কানাচে। অনেকে প্রকাশ্যে এ নিয়ে কথা বলেন। আবার অনেকে বলেন আড়ালে। অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষও এ হেন মন্তব্য বহুবার শুনেছেন। প্রতি বারই স্ট্রেট ব্যাটে ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
গত নভেম্বরে দীর্ঘদিনের বন্ধু গৌরব চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছেন ঋদ্ধিমা। বিয়ের আগে থেকেই এ হেন মন্তব্য কানে এসেছিল তাঁর। তখনই খোলামেলা জবাব দিয়েছিলেন। আর বিয়ের পর থেকে ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন। তাতেও কি নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে?
সদ্য মুক্তি পেয়েছে বিরসা দাশগুপ্তের ‘ক্রিসক্রস।’ সেখানে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋদ্ধিমা। ফিডব্যাক কেমন? ‘‘আমার সীমিত চরিত্র। মোটামুটি টুইটারে ভাল রেসপন্স পেয়েছি। ক্রিসক্রস-এ এতগুলো ডিফারেন্ট চরিত্র, সবাই রিলেটেবল।সে জন্যই ভাল করবে বলে মনে হয়’’ বললেন তিনি।
আরও পড়ুন, সৃজিত আমার বন্ধু, গাইড, মেন্টর, বললেন রাজনন্দিনী
এ ছাড়া অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘দ্য পোয়েটিক জাস্টিস’-এ অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ঋদ্ধিমা। তারই শুটিংয়ের ফাঁকে শেয়ার করলেন, ‘‘জয়জিতের সঙ্গে আমার অনেকদিনের অ্যাসোসিয়েশন। এটা ওর প্রথম শর্ট ফিল্ম। যখন বলল, আমি ছবিটা করছি তোকে করতে হবে, তখন না বলার প্রশ্নই নেই। দু’জন মানুষকে নিয়ে গল্প। সৌমি এবং স্যাম। যারা রিলেশনশিপে আছে। একটা দিনের ঘটনা।’’
পর পর বেশ কিছু শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন ঋদ্ধিমা।তার মধ্যে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের প্রোডাকশনে ‘সারপ্রাইজ’ অন্যতম। মাস খানেকের মধ্যেই ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে ফের তাঁর ব্যোমকেশও শুরু হবে। কিন্তু এখনও তাঁর মনে হয়, তাঁদের জেনারেশন সে ভাবে সুযোগ পাচ্ছে না। তার কারণ কী?
বেড়ানো দম্পতির নেশা।
ঋদ্ধিমা শেয়ার করলেন, ‘‘এখন অনেক বেশি কাজ করছি। আমার মনে হয় এটা ওয়েবের জন্য। এনজয় করছি। আসলে কনটেন্ট বলুন বা স্কোপ অ্যাজ অ্যান অ্যাক্টর ওয়েবে বেশি পাচ্ছি। ফিচার ফিল্মে তো আমাদের সে ভাবে ভাবা হচ্ছে না। জানি না কেন, আমরা অতটা সুযোগ পাই না। আই থিঙ্ক ইটস ভেরি আনফরচুনেট। ঋদ্ধিমা শুধু একটা বাবলি মেয়ের চরিত্রই করতে পারে, সেই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। আমরা তো মনে হয় অ্যাটলিস্ট অডিশন করে দেখা হোক।’’
আরও পড়ুন, প্রেম ছাড়া কি আর প্রশ্ন নেই? বলছেন সোহিনী
বিয়ের পর আর অভিনয় করবেন না, এ হেন ধারণাও সামলাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি একটু চুজি। বেছে কাজ করি। যখন ধরুন ভাল কিছু পেলাম না, তিন মাস বাড়িতে থাকলাম। তখন লোকে বলতে শুরু করে, ও তো কাজ পায় না বা ও কাজ ছেড়ে দিয়েছে। আমি আবারও ক্ল্যারিফাই করতে চাই আমি কাজটা এনজয় করছি। যতদিন পারব কাজ করে যাব।’’
তবে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান তাঁকে বা গৌরবকে নাকি এতটুকুও বদলায়নি। দাম্পত্যের গল্প বলতে গিয়ে হেসে ঋদ্ধিমা বললেন, ‘‘বিয়ের পর লাইফ একই আছে। কিছু রেসপন্সিবিলিটি বেড়েছে। বাড়িটা সামলাতে হয় এখন। রোজ কী রান্না হবে বলতে হয়। এগুলো আগে করিনি। এখন অনেকটাই অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। আমি আর গৌরব এখনও বন্ধুই আছি। বাড়ির কিছু করতে না ভাল লাগলে চিল করি। যেমন ছিলাম, টাচ উড এখনও তেমনই আছি। উই আর প্রিটি মাচ এনজয়িং ইট।...’’
ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy