ঋত্বিক সংসারী মানুষ। একইসঙ্গে তিনি এমন এক শিল্পী, যিনি গা এলিয়ে জীবন কাটাতেও ভালবাসেন। সব সময়ে অভিনয় করতে তাঁর ভাল লাগে না। তখনই তাঁকে ঠেলা দিতে চলে আসে সংসারী সত্তা। তাঁকে মনে করায়, অভিনেতার জীবন অনিশ্চিত। তাকে গুছিয়ে জমিয়ে রাখতে গেলে আলস্য কাটিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
ঋত্বিক চক্রবর্তী
অভিনেতা ঋত্বিক টাকার কথা ভাবেন না। শুধু অভিনয়ই করেন। কিন্তু তিনি সাধক পুরুষ নন, সংসারী। তাঁর স্ত্রী আছেন, সন্তান আছে। স্ত্রী অপরাজিতা ঘোষ নিজেও অভিনেত্রী। তা সত্ত্বেও তিন জনের সংসার চালাতে গেলে হিসেবনিকেশের কথা ভাবতে হয়। তিনি অভিনেতা ঋত্বিক নন, সংসারী ঋত্বিক। টলিউডের উচ্চ প্রশংসিত অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী এই দুই সত্তার দ্বন্দ্ব দেখতে পান মাঝে মধ্যেই। সেই দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করেন প্রায়শই।
আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবারসীয় লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এ সপ্তাহের অতিথি ছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। নিজের জীবনের নিশ্চয়তা, অনিশ্চয়তা অকপট ‘গোরা’। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি টলিউডের ‘তারকা’ শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে ভাবতে হয় কি?
প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই নিজের ‘তারকা’ তকমাকে নাকচ করলেন ঋত্বিক। ‘তারকা’ শব্দের ব্যবহার বাণিজ্যিক। বাজারের খাতিরে এই শব্দের প্রয়োগ বলে মনে করেন তিনি। তাই নিজেকে ‘তারকা’ না বলে ‘অভিনেতা’ বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ।
হ্যাঁ, জীবনের অনিশ্চয়তা তাঁকে ভাবায়। তিনি সংসারী মানুষ। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি এমন এক জন শিল্পী, যিনি গা এলিয়ে জীবন কাটাতেও ভালবাসেন। সব সময়ে সমস্ত চিত্রনাট্য পড়ে অভিনয় করতে তাঁর ভাল লাগে না। তখনই তাঁকে ঠেলা দিতে চলে আসেন সংসারী সত্তা। যে সত্তা তাঁকে মনে করিয়ে দেয়, এই জীবন অনিশ্চিত। তাকে সাজিয়ে গুছিয়ে জমিয়ে রাখতে গেলে আলস্য কাটিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
ঋত্বিকের কথায়, ‘‘প্রয়োজনের তাড়নাটুকু রয়েছে। কিন্তু তার বাইরে যে খুব বেশি অর্থের চিন্তা তাড়িয়ে বেড়ায়, তা নয়। সে জন্য আমার মধ্যে আলসেমি কাজ করে। সংসারী মানুষটা তাঁকে কখনও বকে-টকে। কিন্তু সে বড়ই অবাধ্য। আবারও অলস হয়ে যায়। এই লড়াইটাই চলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy