(বাঁ দিকে) আমির খান। এস এস রাজামৌলী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর অভিনয় জীবন থেকে তাঁর বিরতির খবর শুনে অনুরাগীরা অবাক হয়েছিলেন। নেপথ্যে ছিল বক্স অফিসে তাঁর স্বপ্নের ছবি ‘লাল সিংহ চড্ডা’-র ভরাডুবি। ছবি নিয়ে আশাবাদী হলেও বক্স অফিসে দর্শকদের সমর্থন পাননি আমির খান। ছবির ব্যর্থতার জেরে স্প্যানিশ ছবি ‘চ্যাম্পিয়নস’ থেকেও সরে দাঁড়ান ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।
তবে এখন খবর, শুধু দর্শক নন, মায়ানগরীর অনেকেই এই ছবিতে আমিরের অভিনয়ের সমালোচনা করেছিলেন। অনেকের মতেই ছবিতে অতি নাটকীয় অভিনয় করেছেন আমির। তালিকায় রয়েছেন ‘আরআরআর’ এর পরিচালক এস এস রাজামৌলী! সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গে অজানা তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন আমিরের তুতো দাদা পরিচালক মনসুর খান। তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘এক দিন আমির আমাকে বলে যে ওর অভিনয় আমার অতিনাটকীয় মনে হয়েছে, সেটা নিয়ে ও অবাক হয়নি। কিন্তু রাজামৌলীর মতো পরিচালকও যখন ওকে একই কথা বলেন তখন ও মেনে নেয় যে অতিরঞ্জিত অভিনয় করেছে আমির।’’
ছবিটি মনসুরের কেমন লেগেছে সেই ভাবনাও খোলসা করেছেন পরিচালক। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয় চিত্রনাট্যকার অতুল কুলকার্নি খুব ভাল কাজ করেছেন। হ্যাঁ, আমিরের অভিনয় কোথাও কোথাও আমারও একটু অতিরঞ্জন মনে হয়েছে। কারণ চরিত্রটা তো ডিসলেক্সিয়া বা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত নয়।’’ ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফরেস্ট গাম্প’ ছবিটির রিমেক ছিল ‘লাল সিংহ চড্ডা’। মনসুর জানান, আমিরের তুলনায় মূল ছবিতে টম হ্যাংকসের অভিনয় তাঁর বেশি ভাল লেগেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কিন্তু আমার এই মতামত আমিরকে জানিয়েছিলাম।’’
১৯৮৮ সালে মনসুর পরিচালিত ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ ছবিটি মুক্তি পায়। বক্স অফিসে সফল এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আমির খান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy