Advertisement
E-Paper

‘রুদ্রদার বিয়ে আর আমাদের বৌদি চাই!’

বললেন সোহিনী সরকার।তাঁর আসন্ন ছবি ‘ভিঞ্চি দা’র অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে আড্ডায় উঠে এল পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে নিজেদের প্রেমের গল্প। সামনে স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়আসন্ন ছবি ‘ভিঞ্চি দা’র অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে আড্ডায় উঠে এল পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে নিজেদের প্রেমের গল্প।

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৫৬
টলিউডের নতুন জুটি।

টলিউডের নতুন জুটি।

'ভিঞ্চি দা' বেশ শক্ত নাম...
রুদ্রনীল: ছবিটা দেখতে হবে। শক্ত-সহজ বিষয় নয়। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন পেশার মানুষ একে অপরের সঙ্গে মেশে। তারা হয়তো পাড়ার লোক নয়। কিন্তু এই মিলমিশের জন্য তারা পাড়ার লোক হয়ে গেছে। এই সব সাধারণ মানুষের গল্প বলবে 'ভিঞ্চি দা'। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এক্স ফ্যাক্টর তো আছেই। তা ছাড়া এ ছবিতে কাজ করেছে একদল অভিনেতা। সেটা দেখার মতো। সোহিনীকে যেমন ছবিতে দেখে আমার মনেই হয়নি ও আমার বন্ধু সোহিনী। ঋত্বিক চক্রবর্তী এ ছবিতে আর অভিনেতা ঋত্বিক নেই। কেউ অভিনয় করেনি।
সোহিনী: এ ছবিতে যারাই অভিনয় করেছে। অনির্বাণ, ঋত্বিকদা, রুদ্রদা আমরা প্রত্যেকেই একটা বড় সময় ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে আজ এখানে এসেছি। সেটেও দেখেছি, কারও মধ্যে কোনও বিষয়ে বিরক্তি নেই। সকলে কাজপাগল।ধরুন, পরিচালক হঠাৎ বলল সিন চেঞ্জ এক্ষুণি। তো আমরা সঙ্গে সঙ্গে কস্টিউম বদলাতে ছুটেছি। পারলে নিজেরাই নিজেদের পোশাক ইস্তিরি করে পরে রেডি হয়ে যাই। এতটাই ডেডিকেশন ছিল

সৃজিত তাহলে সেটে রেগে যায়নি বলছেন?
সোহিনী: আমরা সবাই খুব বাধ্য। ফ্লোরে সৃজিত মোবাইল ঘেঁটেছে। আমরা কিন্তু মোবাইল ঘাঁটিনি। যখন যা বলেছে করেছি। রাগার প্রশ্নই নেই।

রুদ্রনীল: ওই গল্পটা বল...

আরও পড়ুন, #মিটু: যৌন নিগ্রহের শিকার হন, জানালেন ‘দঙ্গল গার্ল’ ফতিমা


সোহিনী: একটা সিনের আগে অনেকটা সময় ছিল। আমি আর রুদ্রদা মেক আপ ভ্যানে বসে রিহার্স করলাম। কোথায় কী ভাবে দাঁড়াব? কেমন করে ডায়লগ বলব? সব রেডি করলাম। সেটে গিয়ে সবটা বদলে গেল। আমরা পাশাপাশি বসে কথা বলব ভেবেছিলাম। ঠিক উলটো হল।

রুদ্র: পাশাপাশি কোথায়? আমায় বাবুঘাটে। সোহিনীকে চাঁদপাল ঘাটে দাঁড় করিয়ে দিল। ঠেলা সামলাও।
সোহিনী: আমি মনে মনে ভাবছিলাম রুদ্রদা এটাই বলেছিল। সৃজিত এসে সব বদলে দেবে।
রুদ্র: এই যে উল্টে গেল, এটা হতেই পারে। কিন্তু অ্যাক্টর সে, যে সেটাকে সহজ ভাবে নিয়ে কাজটা করবে। আমরা আমাদের ভাবনা দিয়ে দেখি। পরিচালক সময়টা দেখে।

সোহিনী: আসলে সময়টা তো বদলে গিয়েছে। সমাজের চেহারা বদলালে তার প্রভাব ছবিতেও পড়বে। যদি বিজ্ঞাপনের দিকে তাকাই, দেখব আগে বিকিনি পরা মহিলারা সাবান থেকে বাইকের বিজ্ঞাপনে থাকত। এখন তার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞাপনে পরিবার বড় করে আসছে। এমনকি, কন্ডোমের বিজ্ঞাপনেও পরিবারের ছবি দেখি। ভারত মধ্যবিত্তের দেশ। সব ক্ষেত্রেই মধ্যবিত্ত প্রাধান্য পাবে। ছবিতেও তাই। 'ভিঞ্চি দা'-ও সে কারণে চেনা মুখের গল্প বলে। আর পাঁচ কোটির মানুষ নয়, বাংলা ছবি পাঁচ হাজার টাকার রোজগেরে মানুষই দেখতে যায়।তাদের কথা ভেবে এই ছবি।



ছবির দৃশ্যে রুদ্রনীল-সোহিনী।

আপনার কি মনে হয়, কমার্শিয়াল ছবির জায়গায় আর্বান ছবির কদর বাড়ছে বলেই আপনার মতো অভিনেত্রীরা আরও কাজ পাচ্ছেন?

সোহিনী: কাজ যে জানে, তার অভাব হয় না।তবে এটা ঠিক, কমার্শিয়াল ছবির জায়গায় এখন গল্প, অভিনয় এগুলো ছবির ক্ষেত্রে, দর্শকের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ বার বিষয়টা এরকম না হলে? কমার্শিয়াল ছবির সময় থাকলে আমাকে সেই মতো নিজেকে মোল্ড করতে হত। নাচ শিখতে হত।

এ ছবি লিখতে লিখতেই কী সোহিনীর কথা ভেবেছেন?

রুদ্রনীল:হ্যাঁ। লিখতে লিখতেই সোহিনীর কথা ভেবেছি। কাজ করে বুঝেছি এই ছবির অভিনেতাদের মধ্যে একটা পারস্পরিক ভালবাসা ছিল। আমি যখন ছবি করতে এসেছি তখন হিরোর চেহারার মাপকাঠি ছিল। ঋত্বিক ও শুরু করে ওই সময়ে। কিছু দর্শক এত ভিড়ের মধ্যে ওকে মনের ভেতর রেখে দিয়েছিলেন।ওই দর্শক কিন্তু আবার অনির্বাণ, সোহিনীকে নিয়ে এল। সোহিনী যে ফড়িং থেকে প্রজাপতি হল তা তো দর্শকের জন্য। সাধারণ মানুষ তাদের মতো দেখতে মানুষকে খুঁজছে এখন। 'শব্দ' তৈরি করেছে ঋত্বিককে। 'চ্যাপলিন' তৈরি করেছে আমাকে।সাধারণ মানুষ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।মানুষ জ্যান্ত চরিত্র দেখতে চাইছে। ধরন চেঞ্জ হচ্ছে। আমাদের মেইনস্ট্রিম ছবিতে কাজ করার বন্ধুদের এই দর্শকদের কথাও ভাবতে হবে। দর্শকের পছন্দের 'সুন্দর' বদলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন, ‘কিয়া অ্যান্ড কসমস’ ছবি ঘিরে নায়িকা-প্রযোজক বিতর্ক তুঙ্গে


সৃজিতকে এ ছবিতে কী মনে হল?
রুদ্রনীল:সৃজিত যখন সেটে ঢোকে ও ডিক্টেটর। ওর গলাটা আমাদের অসহ্য লাগে। আর ওই গলা নিয়ে যখন আড্ডা মারে আমরা হাঁ করে শুনি।কত কী জানতে পারি। সৃজিতের মজা হচ্ছে ও অ্যাক্টরস্ ডিরেক্টর।আর এই ছবিতে পিওর অ্যাক্টরদের সঙ্গে কাজ করেছি আমরা।

সোহিনী আলাদা করে মহিলা হিসেবে কী মনে হয় ইন্ডাস্ট্রিতে লড়াইটা কঠিন?

সোহিনী: লড়াই সব মানুষের থাকে। আমারও আছে। আলাদা করে কোনও কষ্ট হয় না। তবে মানুষগুলোকে চিনে রাখি। মনে করি যে মানুষ কেবল আমার ক্লিভেজ দেখানো ছবিকেই মিডিয়ায় হাইলাইট করে তার নীতি আমার সঙ্গে মেলে না।
রুদ্রনীল: বিষয়টা জেন্ডার ক্রাইসিস নয়। আমি আমার যোগ্যতার চেয়ে যদি বেশি সম্মান চাই সেখানেই সমস্যা। যে পর্যন্ত আমার হাত যায় সে অবধিই আমি পিঠ চুলকালে চুলকবো। অন্য হাতের দরকার নেই আমার।



শুটিংয়ে দুই শিল্পী।


আর প্রেমের দরকার কতটা?
সোহিনী: আমার প্রেমের উচ্চতা হিমালয়ের মতো।

মানে সংখ্যায় বেড়েই চলবে

সোহিনী: আমি প্রেমে থাকতে ভালবাসি।

এই ভালবাসা কী অনির্বাণের জন্য?

সোহিনী: আরে তা কেন? অনির্বাণের প্রেম অনির্বাণ বলবে। আমি কেন বলব?

আপনি আপনারটা বলুন...

সোহিনী: এক কথায় হ্যাঁ প্রেম না প্রেম এমন বলা যায় নাকি?

আর রুদ্রনীল?

সোহিনী: এটা আমি বলব। রুদ্রদা দারুণ ফ্ল্যাট কিনেছে। ভাল পাত্র। আমাদের বৌদি চাই।

শোনা যায় ইন্ডাস্ট্রির সব উঠতি অভিনেত্রীই তো রুদ্রনীলের মতামত নিয়ে চলে?

রুদ্রনীল: আরে স্টার বাড়ির বাচ্চা নয় যারা তারা অনেক ভুল করে ফেলে। আমি সাহায্য করি মাত্র। আর ছেলেদেরও করি। হ্যাঁ পঞ্চাশজন মেয়ে থাকলে পাঁচজনকে আমার ভাল লাগে।
সোহিনী: কোনও কথা নয়। এ বার বৌদি চাই।

(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

Rudranil Ghosh Tollywood Celebrities Sohini Sarkar Bengali Movie Upcoming Movies
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy