সমাজমাধ্যমের যুগে পুরনো অনেক কিছুই নতুন রূপে ফিরে আসে নবীন প্রজন্মের কাছে। গায়ক শানের একাধিক গান যেমন এই প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, সৌজন্যে ‘রিল’ বা পুরোনো ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার চল। নতুন শ্রোতা পেয়ে খুশি গায়ক। যদিও তাঁর একটি অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে ভারতের গানের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করলেন শান।
শানের আফসোস তাঁকে এবং তাঁর সমকালীন গায়কদের প্রায়ই ‘নব্বইয়ের শিল্পী’ হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, অভিনেতাদের ক্ষেত্রে এমন খুব একটা ঘটে না। ‘রিপ্রাইজ়’ ও ‘রিমিক্স’-এর যুগে খুব একটা নিজের গান আর বাজারে আনেন না শান। কিন্তু কেন? গায়ক বলছেন, “আমাদের গান তো আমাদের থাকে না। গায়ক হিসাবে, আমরা শুধু গানটা গাই। কিন্তু, গানগুলি আসলে সঙ্গীত পরিচালকের। আসলে, ওঁদের হাতেও থাকে না। লেবেলের (যে সংস্থার অধীনে কোনও গান মুক্তি পায়) কাছে সমস্ত অধিকার থাকে। ফলে, যত ক্ষণ না কোনও ‘লেবেল’ চাইছে, আমি নিজে নিজে গান তৈরি করতে পারব না।”
আরও পড়ুন:
এই প্রসঙ্গেই শান জানান ‘নব্বইয়ের গায়ক’ তকমা খুব একটা পছন্দ করেন না। শান বলেন, “কোনও তারিখের গণ্ডিতে গায়কদের বেঁধে দেওয়া উচিত নয়। কাউকে যদি বলেন যে তাঁদের কণ্ঠে নব্বইয়ের সুর রয়েছে, সেটা ঠিক নয়। এটা একটা মানসিকতা। যদি এখন উদিতজি (নারায়ণ) সমসাময়িক কোনও গানে কণ্ঠ দেন তা হলে মানুষ বলবেন তাতে নব্বইয়ের অনুভূতি রয়েছে। শান বা সোনু (নিগম) নতুন গান গাইলে মানুষের মনে হবে সেটা ২০০০ সালের গানের মতো লাগছে। কিন্তু, শাহরুখ খান ‘পাঠান’ করলে তাঁকে ‘বাজ়িগর’-এর মতো লাগছে কেউ বলেন না। এটা পুরোটাই একটা নির্দিষ্ট ধরনের মানসিকতা। আমরা তারিখে বন্দি হয়ে যাই, আমাদের নায়কেরা চিরন্তন থেকে যান।”
আগামী শুক্রবার, মুম্বইয়ে কনসার্টের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শান। সেখানে তিনি কিশোর কুমারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান করবেন।