প্রয়াত তেজি বচ্চনের জন্মদিন উপলক্ষে টুইট করেছেন বচ্চনকন্যা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
ঠাকুমাকে নিয়ে শ্বেতা বচ্চন নন্দার পোস্ট মন ছুঁয়ে গেল নেটিজেনদের। প্রয়াত তেজি বচ্চনের জন্মদিন উপলক্ষে টুইট করেছেন বচ্চনকন্যা। সঙ্গে দিয়েছেন সাদাকালো নস্টালজিক ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট অভিষেক বসে আছে ঠাকুমার সঙ্গে। পাশে ব্যক্তিত্বময়ী তেজি। তাঁর দু’হাতে ধরা ঠান্ডা পানীয়ের গ্লাস। চোখে আইকনিক রোদচশমা।
ছবির সঙ্গে পোস্টে শ্বেতা ফিরে গিয়েছেন তাঁর শৈশবে। লিখেছেন তাঁর আর অভিষেকের ছোটবেলায় ‘দাদি’ তেজি বচ্চনের প্রভাব। শ্বেতা লিখেছেন, ‘আমরা যেখানে যেখানে যাই, যাঁদের সঙ্গে খাই এবং যে যে বই পড়ি, সে সবই আমাদের প্রভাবিত করে। গড়ে তোলে একজন মানুষকে। আমাদের দাদি ছিলেন তাঁর ছ’জন নাতিনাতনির কাছে আনন্দের হাট। নানা রকমের বই দেওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমনোর আগে গল্প বলা, সবরকম আনন্দের উপকরণ ছিল দাদির কাছে। দাদি, আজ তোমার কথা খুব মনে পড়ছে।’
১৯১৪ সালের ১২ অগস্ট তেজি বচ্চনের জন্ম অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাব প্রদেশে, আজকের পাকিস্তানের ফয়জলাবাদে। লাহৌরের কলেজে মনোবিজ্ঞান পড়াতেন তেজি। সেই সময় তাঁর আলাপ ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হরিবংশ রাই বচ্চনের সঙ্গে। ১৯৪১ সালে শুরু দু’জনের দাম্পত্য। বিয়ের পরে আর অধ্যাপনা নয়। সংসারের পাশাপাশি তেজি নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন থিয়েটারে। শেক্সপিয়রের ‘ম্যাকবেথ’ নাটকের হিন্দি অনুবাদ করেছিলেন হরিবংশ। সেখানে লেডি ম্যাকবেথের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তেজি।
প্রথম সন্তান অমিতাভের জন্ম ১৯৪২ সালে। তাঁর সাত বছর পরে জন্ম ছোট ছেলে অজিতাভের। অমিতাভ-জয়ার দুই সন্তান অভিষেক, শ্বেতা এবং অজিতাভের চার সন্তান নিলীমা, নয়না, নম্রতা ও ভীমের স্নেহের আশ্রয় ছিলেন দাদি তেজি। সংসার, থিয়েটারের পাশাপাশি সামাজিক কর্মী হিসেবেও তাঁর ভূমিকা উজ্জ্বল। তিনি ১৯৭৩ সালে ফিল্ম ফাইনান্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার একজন ডিরেক্টর নিযুক্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘ অসুস্থতার পরে ২০০৭-এর ২১ ডিসেম্বর ৯৩ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে কতটুকু জানেন তিনি? অপর্ণার দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন রাজ
আরও পড়ুন: অসুস্থ বিদ্যা সিংহ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy