পরনে সুতির শাড়ি, কপালে লাল টিপ, হাতে শাঁখা-পলা— অভিনেত্রী শ্যামৌপ্তি মুদলি যেন এক নিমেষে অনেকটা পরিণত। অভ্রজিৎ সেন পরিচালিত ‘রঙ্কিনী ভবন’ সিরিজ়ে অন্য ভাবে দর্শক দেখবেন অভিনেত্রীকে। তাঁকে ছোটপর্দায় দেখতেই এত দিন অভ্যস্ত ছিলেন দর্শক। নতুন শ্যামৌপ্তি অনেকটা পরিণত। রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে সম্পর্কই কি তার প্রভাব?
মা, বাবা, বন্ধুবান্ধব— প্রতিটি সম্পর্কেই আদান-প্রদানের বিষয় থাকে। শ্যামৌপ্তি বললেন, “প্রচুর যত্নের দরকার হয়। এটা ঠিক যে, দেড় বছর আগে শ্যামৌপ্তিকে আমি যেমন দেখেছি, এখন নিজেকে অন্য ভাবে দেখি। এখানে রণজয়ের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একটা ভাল সঙ্গ, ভাল পরিবেশ, ইতিবাচক পরিস্থিতি ভীষণ দরকার জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।” একটা সময় ছিল, মূলত ইন্ডাস্ট্রির বাইরের বন্ধুদের সঙ্গেই মিশতেন শ্যামৌপ্তি। সেখানে তাঁর কাজের বিষয়টা বোঝার মতো কেউ ছিল না। সে সময়ে বয়সও অনেকটা কম ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী যোগ করেন, “তখন বাস্তবের সঙ্গে আমার কেউ পরিচয় করায়নি। একটা কল্পনার জগতে, স্বপ্নের জগতে বাস করতাম। এই প্রথম কেউ আমার জীবনে এসে সেই বাস্তবের মুখোমুখি করাল। এই সমাজে থাকতে গেলে, নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে গেলে কী করতে হয়, তা বুঝিয়েছে ও। হাতে ধরে তো কেউ শিখিয়ে দিতে পারবে না। সেই পরামর্শটা দিয়েছে। বই পড়া, কোনও চরিত্র নিয়ে আলোচনা সবটাই করতে পারি। এটাই অনেক বড় পাওনা। কারণ, এখনকার দিনে খুব কম মানুষই চায়, পরস্পরের পাশে থেকে পরস্পরের উন্নতি দেখব।” শ্যামৌপ্তি মনে করেন, এ ক্ষেত্রে তিনি খুবই ভাগ্যবতী। যেমন ছোট থেকে মা-বাবার ভালবাসা, সঠিক পরামর্শ পেয়েছেন, তেমনই তিনি নিজের সঙ্গীর থেকেও তেমনই সঠিক উপদেশ পান। যে কারণে, নতুন কাজ বাছাই থেকে চরিত্র নির্বাচন— সব সিদ্ধান্ত একা নেওয়ার ক্ষমতা হয়েছে তাঁর।