অভাবের তাড়না নিলীশাকে পথে নামিয়েছে। সমব্যথী রচনাও।
‘‘লকডাউনে সব বন্ধ। কোথাও অনুষ্ঠান, স্টেজ শো নেই। গান রেকর্ডিং-ও হচ্ছে না। কাউকে কিছু বলতেও পারছি না। দোষও দেওয়ার নেই কাউকে। কিন্তু পেট তো মানে না!’’ বলতে বলতে গলা ধরে এসেছে শিল্পীর। যাঁরা শুনছেন তাঁরাও স্তব্ধ। গায়িকা তখনও বলে চলেছেন, ‘‘হাতে জমানো যা ছিল, খেয়ে পরে থাকতে গিয়ে ফুরিয়ে গেল এক সময়। মাথায় হাত, এ বার কী খাব? কী ভাবে সংসার চলবে?’
এই প্রশ্নটাই সারাক্ষণ তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিল গায়িকা নিলীশা বসাককে। তিনি শিল্পী। এই অবস্থায় ভাবতে থাকেন, গানের বাইরে আর কী করতে পারেন, যাতে সংসারে দুটো পয়সা আসবে?
দুশ্চিন্তা থেকে, সংসারের মুখ চেয়ে শেষে রাস্তায় দুধ, কেক, বিস্কুট নিয়ে বসা শুরু তাঁর।
আরও পড়ুন: অভিষেকের লাভস্টোরিতে অ্যাথলিট আয়ুষ্মান
আচমকা পেশা পরিবর্তন। কী ভাবে মানিয়ে নিলেন নিলীশা?
হার না মানা মনের ছায়া পড়ল গায়িকার কথাতে, ‘‘সম্মানজনক যে কোনও কাজ এই অসময়ে করতে রাজি। কারণ, যে ভাবেই হোক চালাতে হবে সংসার। চলতে হবে নিজেকেও।’’
আজন্ম হাতিবাগানের বাসিন্দা নিলীশা এরপর থেকেই খাবার বিক্রেতা! হরি ঘোষ স্ট্রিটের ট্রাম লাইনের ওপর রোজ তাঁকে দেখা যায় নানা ধরনের শুকনো খাবার নিয়ে বসতে।
আরও পড়ুন: হেমা-শ্রীদেবী-জয়াপ্রদা... একাধিক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনেও অটুট জিতেন্দ্র-শোভার দাম্পত্য
অতি সম্প্রতি, জি বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’-এ তিনি এসেছিলেন অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে। ‘দিদি’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং কুর্নিশ জানিয়েছেন নিলীশাকে, নিলীশার মনের জোরকে। আশ্বাস দিয়েছেন তাঁর পাশে থাকার।
যাঁর গলায় সাত সুর-পাখি পোষা, দুর্দিনে তাঁর এই রূপান্তর চোখ ভিজিয়েছে রিয়্যালিটি শো-এর দর্শকদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy