‘ধুরন্ধর’ ছবির পরতে পরতে মিশে আছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের রাজনীতি! এমনই মত নেটপাড়ার একটা বড় অংশের। এই ছবি এক দিকে যেমন বক্সঅফিসে ঝড় তুলেছে, অন্য দিকে দর্শকের একাংশের সমালোচনার মুখেও পড়েছে। অনেকেই একে ‘একপেশে প্রচারসর্বস্ব’ ছবি বলে দাগিয়েছেন। এ বার রণবীর সিংহের অভিনীত এই ছবির পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি।
আরও পড়ুন:
এই ছবিতে উঠে এসেছে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা। আবার নাম ঊহ্য রেখে দেশের পূর্বতন ইউপিএ সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও তাঁর পুত্রের দিকে ভারতে জাল নোট কারবারে ইন্ধন জোগানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ছবির শেষে রণবীরের মুখে সংলাপ রয়েছে, ‘‘এটা নতুন ভারত। এ ঘরে ঢুকবেও এবং মারবেও।’’ এই সংলাপ নিয়েই অনেকে তির্যক মন্তব্য করেছেন। কারণ, অনেকেরই মতে, জাল নোট নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকারের দিকে পরোক্ষ ভাবে আঙুল তোলা হয়েছে। একই ভাবে অনেকের অভিযোগ, ‘এটা নতুন ভারত’— ছবির এই সংলাপ বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর স্লোগানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে স্মৃতির মত হল, এতে এত বিরোধিতা করার কিছু নেই। এটা নিতান্তই একটি ছবি। যদিও একই সঙ্গে স্মৃতি বলেন, ‘‘‘ধুরন্ধর’ শুধু ছবি নয়, এটা একটা আখ্যান। এটি বেঁচে থাকার গল্প বলে। যাঁরা প্রিয়জনেদের হারিয়েছেন, তাঁদের কাহিনি বলে। এই ছবির মাহাত্ম্য অনুভব করতে পারলে ক্ষোভের থেকেও বেশি ঋণী হয়ে থাকবেন।’’
এক দিকে, রণবীরের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি যেমন স্মৃতিকে মুগ্ধ করেছে, তেমনই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের চরিত্রে মাধবনকে দেখে মুগ্ধ অভিনেত্রী। স্মৃতি বলেন, ‘‘আমার মতো যাঁরা অজিত ডোভাল নামক একজন কিংবদন্তির সান্নিধ্যে থাকার সৌভাগ্য পেয়েছেন, তাঁদের হয়তো ছবিটা দেখে একটু অদ্ভুত লাগতে পারে। কিন্তু, এর চেয়ে ভাল আর কোনও অভিনেতা ওই চরিত্রে অভিনয় করতে পারতেন না। এত শান্ত ভাবে ভিতরে ঝড় ধরে রাখার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে আর কেউ পারতেন না।’’