সোনম
প্র: বাবা অনিল কপূরের সঙ্গে কাজ করতে অনেক দেরি হয়ে গেল কি?
উ: কেরিয়ারের শুরুতেই ঠিক করেছিলাম যে, কাউকে দেখানোর জন্য আমি বাবার সঙ্গে কাজ করব না। এমনিতেই বলা হয়, সোনম মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মেছে। তাই প্রথম থেকে চেষ্টা করেছিলাম, নিজের একটা আলাদা রাস্তা তৈরি করতে। প্রথম কয়েকটা ছবি আমার পদবির জন্য এলেও আমি জানতাম নিজের কাজের মধ্য দিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লগা’র স্ক্রিপ্টটা ভীষণ ভাল। আমার এবং বাবার দু’জনেরই মনে হয়েছিল এই ছবিটার জন্য রিয়্যাল লাইফ বাবা-মেয়ের রসায়ন প্রয়োজন। বাবা ছাড়া এই চরিত্রটা আর কেউ করতে পারতও না।
প্র: আপনার আর রিয়ার প্রযোজনা সংস্থার ছবিতে বাবাকে কাস্ট করেন না কেন? উনি তো এই নিয়ে অনুযোগও করেন!
উ: (হেসে) আমি আর রিয়া আগে নিজেদের কথা ভাবি! আসলে আমরা ভয় পাই। বাবাকে সব কিছুতে ইনভল্ভ করলে আবার শুনতে হবে, বাবা মেয়েদের সাহায্য করছে। তাই ‘আয়েশা’, ‘খুবসুরত’, ‘বীরে দি ওয়েডিং’— সব ছবিই নিজেদের চেষ্টায় বানিয়েছি।
প্র: অনিল কপূর বলেন, সোনমের মধ্যে এক জন পরিচালক লুকিয়ে আছে।
উ: ঠিকই। আমার মধ্যে পরিচালক সত্তা আছে। তবে অভিনয় করতে সবচেয়ে ভালবাসি। মাথায় সব সময়ে সিনেমার কথা ঘোরে। অভিনয় নিয়ে একেবারেই কম্পিটিটিভ নই। কোনও নায়িকা ভাল কাজ করলে খুব খুশি হই। অভিনেত্রী হিসেবে ভাল সময় যাচ্ছে। পরিচালকের কাজ অনেক কঠিন। সময় লাগবে। লেখালিখির জন্য সময় বার করতে হবে। অভিনয় থেকে ব্রেক নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন সুবিধা পাওয়ার কোড ফাঁস করলেন শার্লিন!
প্র: বলা হচ্ছে, ‘এক লড়কি...’তে আপনার চরিত্রটা করতে সাহস প্রয়োজন...
উ: আমার মতে সাহসটাই সব নয়, চরিত্রের বাছাইটাও গুরুত্বপূর্ণ। কেরিয়ারে সেই সব চরিত্র করেছি, যেগুলো এন্টারটেনিং লেগেছে। তা ছাড়া আমি ভাগ্যবান। আমার কাছে ভাল চরিত্রগুলোই এসে পৌঁছেছে। সাহসের চেয়ে আমার ভাগ্য বেশি কাজ করেছে বলে মনে হয়। সেই কারণেই ‘ভাগ মিলখা ভাগ’, ‘সঞ্জু’, ‘প্যাডম্যান’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছি।
প্র: প্রথম বার আপনাকে দেখার পর আনন্দ কি বলেছিলেন, ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লগা’?
উ: (হেসে) আপনারা হয়তো জানেন, আনন্দ স্নিকার্সের জন্য পাগল। ওর মতে, আমাদের প্রথম দেখার সময়ে আমি খুব খারাপ দেখতে স্নিকার্স পরেছিলাম। সেটা ও আমাকে বলেছিল। তার পর একজোড়া নতুন স্নিকার্স কিনে দিয়েছিল। ওর নিজের কালেকশন খুব ভাল।
প্র: আনন্দকে প্রথম বার দেখে কী মনে হয়েছিল?
উ: ভীষণ সুপুরুষ লেগেছিল। আগে ওর মাথায় অনেক চুল ছিল। আনন্দ ওয়ার্কআউট করতে ভীষণ ভালবাসে। তাই যাতে বেশি ঘাম না হয়, তার জন্য সব চুল কেটে ফেলে। এখন আমার ইচ্ছেতে আবার চুল বড় করছে (লাজুক হেসে)! আমি যেমন খুব চঞ্চল, আনন্দ কিন্তু শান্ত আর কেয়ারিং।
প্র: বিয়ের পরে সব কিছু ব্যালান্স করা কঠিন হচ্ছে? বিশেষ করে আপনাদের দু’জনকে অনেক ট্র্যাভেল করতে হয়।
উ: ঠিকই বলেছেন। আমার আর আনন্দের প্রাথমিক চাহিদা হচ্ছে কাজ। আর তার জন্য ট্র্যাভেলিং ইজ় মাস্ট। বিয়ের পরে জীবনটা কঠিন হয়ে গেলেও আমি ব্যাপারটা উপভোগ করছি।
প্র: অনিল কপূর বলেন, আপনার আর ওঁর মধ্যে রোল রিভার্সাল হয়েছে।
উ: একদম ঠিক। বিয়ের পরে বাবা-মায়ের প্রতি টান আরও বেড়েছে। আমার মা সব সময়ে বলেন, ডটার্স আর ব্লেসিংস। এক জন মেয়ে যে ভাবে তার বাবা-মাকে দেখাশোনা করতে পারে, একটা ছেলে সে ভাবে পারে না। আমারও তাই মত। বাবা-মায়ের জন্য উদ্বেগে থাকি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy