শ্রীলেখা মিত্র
‘ধূম্রপান স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক, এতে ক্যান্সার হয়’, সিনেমা শুরুর ‘টাইটেল কার্ড’-এরই একটি অংশের মতো হয়ে গিয়েছে এই বাক্যটি। যেন এই অডিওটি শোনার পরেই পপকর্নের প্যাকেটটা খুলে বসতে হবে। কিন্তু আদপে কি তাই? সত্যিই তো তামাক জাতীয় দ্রব্য আদপে একটি জীবনকে খাদের ধারে টেনে নিয়ে যেতে পারে।
এখানেই প্রশ্ন ওঠে। সিগারেট খাওয়ার বিপদ তো সবাই জানে। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। কিন্তু কেন বলা হয় যে স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রেরও ক্ষতি হয়? এটা কি কোনও রকম কোল্যাটারাল ড্যামেজ? প্রশ্ন করা হল প্রথম সারির টলি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে।
শ্রীলেখার স্পষ্ট উত্তর, ‘‘সিগারেট খাওয়া খারাপ অভ্যাস। কোনও দিন প্রচার করব না। কিন্তু বদ অভ্যাসের দাস তো আমরা মানুষরাই। আর এখানে গিয়েই সমস্যা। তামাকজাত দ্রব্যে ধ্বংস হয় শরীর। চরিত্র না। এটাই সম্ভবত মানুষ গুলিয়ে ফেলেন। এতে বেশি করে টার্গেট করা হয় মহিলাদের।’’
আরও পড়ুন: ক্যামেরায় মোটা লাগা বা পারিশ্রমিকের জন্য একাধিক কাজ হারিয়েছেন করিনা
টার্গেট করেন কারা? কেবল পুরুষেরা? নাকি মহিলারাও?
এই প্রশ্নের উত্তরে একটি উদাহরণ দিলেন অভিনেত্রী। তিনি জানালেন, ‘‘কখনওই কেবল পুরুষরা নন। এক জন মহিলার চরিত্রহননে কোনও লিঙ্গই কম যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক জন মহিলা রয়েছেন যিনি আমাকে সব প্ল্যাটফর্মেই ফলো করেন। আমার সমস্ত ছবি দেখেন এবং কুৎসিত মন্তব্য করেন। ব্লক করলে অন্য মাধ্যমে আমাকে ফলো করেন।’’
সমস্ত পরিস্থিতি পরখ করে শ্রীলেখা একটি কল্প ঘটনার কথা বললেন, ‘‘এটা সকলেই জানে যে আমি এই বদ অভ্যাসের দাস। আমি সিগারেট খাই। কিন্তু কোনও দিন সিগারেট খাওয়ার ছবি আমি পোস্ট করব না। কারণ, এই প্রচারটা আমি করতে চাই না। কিন্তু ধরে নেওয়া যাক, কোনও দিন অন্য কোনও সূত্রে যদি আমার সিগারেট খাওয়ার ছবি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ পেয়ে যায়, তবে আর রক্ষে নেই আমার। আমার চরিত্র ধুলোয় মিশিয়ে দিতে বাকি রাখবেন না কেউ। এটা তো হওয়ার কথা নয়!’’
আরও পড়ুন: রিলের প্রেম এল রিয়েল লাইফে! যশ-নুসরত এখন পাওয়ার কাপ্ল
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy