প্রকাশ্যে এল শ্রীজাতর প্রথম ছবি ‘মানবজমিন’-এর পোস্টার।
কথায় আছে, প্রথম অনুভূতিই শেষ অনুভূতি। শুক্রবার সকাল থেকেই বেশ উদ্বিগ্ন কবি শ্রীজাত। থুড়ি কবি বললে ভুল বলা হবে। পরিচালক শ্রীজাত বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ প্রকাশ্যে এল তাঁর প্রথম ছবি ‘মানবজমিন’-এর প্রথম পোস্টার। ঘন নীল আকাশ ছুঁয়েছে সবুজ বিস্তৃত মাঠকে। মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে পরিচালকের চরিত্ররা। হলুদ পাঞ্জাবিতে দাঁড়িয়ে ‘সঙ্কেত’, আর অপরজন‘কুহু’ কোঁকড়া চুল আর শাড়িতে।
কবি শ্রীজাত পরিচালনায়। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মুখিয়ে দর্শক। এতদিন তাঁর লেখা পড়ে এসেছেন। সেই লেখাই এ বার পর্দায়। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে শ্রীজাতর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “আমি উদ্বিগ্ন তো বটেই। কী মোড়কে পরিবেশন হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে অনেক কিছু। শ্যুটিংয়ের সময় অনেক ছবি তোলা হয়, তখনই তার মধ্যে একটি ছবিতে আমার চোখ আটকে যায়। জেদ করি সেই ছবিটাই যেন পোস্টারে থাকে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে মানুষের পছন্দ হবে।”
সম্ভবত এই বছরের শেষেই মুক্তি পাবে ‘মানবজমিন’।
শ্রীজাত মানেই দর্শকের আশা, ভরসা। এতদিনের কেরিয়ারে কুড়িয়েছেন বহু প্রশংসা। কিন্তু পরিচালক শ্রীজাত যদি দর্শকের আশা পূরণ করতে না পারেন, কটাক্ষ শোনার জন্য কি প্রস্তুত? তাঁর উত্তর, “হ্যাঁ, একেবারেই। এখন তো সুপ্রভাত বললেও অনেকে কটাক্ষ করে। বরং এটা না হলে অবাক লাগে। আমি এগুলো নিয়ে একটুও ভাবিত নই।”
ছবির গল্প ‘মানবজমিন’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে কেন্দ্র করে। কুহু ওরফে প্রিয়ঙ্কা এই সংস্থা চালান। সঙ্কেত ওরফে পরমব্রত ভালবাসেন কুহুকে। তাঁকে বড় করেছেন তাঁর জেঠু বরেনবাবু। ধীরে ধীরে সবাই নানা ভাবে জড়িয়ে পড়বে সংস্থার সঙ্গে। থাকবে আদানপ্রদানের টানাপড়েনও। ছবির প্রযোজক রানা সরকার। সম্ভবত এই বছরের শেষেই মুক্তি পাবে ‘মানবজমিন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy