Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পদ্মাবতী: সিদ্ধান্ত নিক সেন্সর বোর্ড, চায় কমিটি

কমিটি এবং প্যানেল, উভয়েই সিনেমাটি ছাড়পত্র পাবে কিনা তা ঠিক করার দায়িত্ব সেন্সর বোর্ডের হাতে ছেড়ে দেয়। কমিটির সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণী বলেন, ছবিটা মুক্তির আগে কেন এত কথা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। ছবির মুক্তির বিষয়টি সেন্সর বোর্ডই ঠিক করে থাকে।

দিল্লিতে ভন্সালী। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।

দিল্লিতে ভন্সালী। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১২
Share: Save:

পদ্মাবতী বিতর্কে অবশেষে বোঝাপড়ার ইঙ্গিত।

আজ তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়ে এলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। ছিলেন সেন্সর বোর্ডের প্রধান প্রসূন জোশীও। প্রসূন পিটিশন সংক্রান্ত সংসদীয় প্যানেলেও যান।

এত দিনের মধ্যে গোটা বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ খোলেননি। স্পষ্ট করে মত জানাননি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। এমতাবস্থায় সংসদীয় কমিটি যেমন বেনজির ভাবে পরিচালককে ডেকে পাঠাল, সেন্সর কর্তার বক্তব্য শুনল এবং তার পরে সেন্সর বোর্ডের প্রাধান্যকেই মান্যতা দিল, তাতে অনেকেই মনে করছেন, বিতর্কটি এ বার মেটার দিকে এগোচ্ছে।

বিজেপি শিবিরের ব্যাখ্যা, বিষয়টি নিয়ে ঘরে-বাইরে যে মুখ পুড়ছে তা বুঝতে পারছিলেন মোদী-অমিত শাহেরা। কিন্তু রাজপুত সমাজের ক্ষোভ ও গুজরাত ভোটের কথা মাথায় রেখে মুখ বুজে ছিলেন। গত কাল ‘পদ্মাবতী’র ইতিহাসগত দিকগুলি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করিয়ে নিয়ে ছবিটির মুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অমিত। একই সুর শোনা যায় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের গলায়। তা হলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা কেন ছবির বিরুদ্ধে সরব? রবিশঙ্করের উত্তর, সেটা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থেই। ঘরোয়া মহলে অনেকেই মানছেন, গুজরাতের রাজপুত ভোট হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কাতেই ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: তবে কি চাপে মোদী, ভোটের আগে জল্পনা

সূত্রের খবর, আজ মিটমাটের লক্ষ্যেই ভন্সালী এবং প্রসূনকে ডাকে সংসদীয় কমিটি। প্রসূন জানান, সিনেমাটি তিনি এখনও দেখেননি। ভন্সালীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের কাছে থাকা সত্ত্বেও কেন কিছু লোককে সেটা ডেকে দেখিয়েছেন তিনি। ভন্সালী মেনে নেন, কাজটা নিয়মসঙ্গত হয়নি। কমিটি জানতে চায়, তিনি কীসের ভিত্তিতে সিনেমাটি বানিয়েছেন? ভন্সালী জানান, ইতিহাস বিকৃত করা হয়নি। সিনেমাটি সুফি কাব্য পদ্মাবত অবলম্বনে নির্মিত। কমিটি জানতে চায়, বাস্তব চরিত্রের সঙ্গে তবে কেন নামের মিল? যে জহর ব্রত আইনত নিষিদ্ধ, তা সিনেমাতে দেখানো যায় কি। দু’সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে ভন্সালীকে লিখিত জবাব দিতে হবে। তবে সেই উত্তরের সঙ্গে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্রের কোনও সম্পর্ক নেই।

কমিটি এবং প্যানেল, উভয়েই সিনেমাটি ছাড়পত্র পাবে কিনা তা ঠিক করার দায়িত্ব সেন্সর বোর্ডের হাতে ছেড়ে দেয়। কমিটির সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণী বলেন, ছবিটা মুক্তির আগে কেন এত কথা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। ছবির মুক্তির বিষয়টি সেন্সর বোর্ডই ঠিক করে থাকে। আর ‘পদ্মাবতী’কে স্বাগত জানানোয় যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাক কাটার হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হলে তাঁকে সমর্থন করেন সব দলের সাংসদই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE