টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাইকের জন্য বন্ধ ছিল অধিকাংশ ধারাবাহিকের শুটিং। ফলে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল তাদের সম্প্রচার নিয়ে। কিন্তু প্রোডিউসার গিল্ড এবং টেকনিশিয়ানদের মধ্যে বৈঠকে মীমাংসার রাস্তা আপাতত খুলেছে। টেকনিশিয়ানদের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত দাবি নিয়ে বিবেচনা করবেন বলে মঙ্গলবার গভীর রাতের বৈঠকে জানান প্রযোজকেরা। তাই ধর্মঘট উঠেছে। বুধবার থেকেই ফের শুটিং হবে।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে প্রযোজকদের মতানৈক্যর ফলেই এই ধর্মঘট হয়েছিল। বাঁধাধরা পারিশ্রমিক না পাওয়া এবং শুটিংয়ের কোনও নির্দিষ্ট সময় না থাকার কারণে বহু দিন ধরেই অসন্তোষ জমেছিল টেকনিশিয়ানদের মনে। এই নিয়ে টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে প্রযোজকদের গিল্ডের একাধিক বৈঠকের পরেও কোনও সুরাহা মেলেনি। সেই কারণে গত রবিবার থেকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার ফলে অধিকাংশ শোয়ের শুটিংই বন্ধ ছিল। জ়ি বাংলার ‘জয় বাবা লোকনাথ’-এর শুটিং অবশ্য টুকটাক চলেছে। শোয়ের প্রযোজনা সংস্থাও জানিয়ে দিয়েছিল, বুধবার থেকে তারা পুরোদস্তুর শুটিংই চালিয়ে যাবে। অন্য দিকে, অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘ভূমিকন্যা’র শুটিংও বন্ধ হয়নি। রোজকার সময়সূচি মেনেই চলেছে তার শুটিং। ধর্মঘট জারি থাকলে অবশ্য ছবিটা অন্য রকম হতো, কারণ আগে ‘ব্যাঙ্ক’ করে রাখা পর্বগুলোর ভাণ্ডারও ছিল শেষ হওয়ার মুখে। তাই শুটিং যে কোনও প্রকারে শুরু করতেই হতো।
আবার ধর্মঘটের জেরে ‘কালার্স বাংলা’র কোনও ধারাবাহিকেরই শুটিং হচ্ছিল না। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ‘কে হবে বাংলার কোটিপতি’র শুটিং মঙ্গলবার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ধর্মঘটের জন্য তা হতে পারেনি। ইন্ডাস্ট্রির একাংশের মতে, টেকনিশিয়ানদের দাবিগুলো একেবারেই অন্যায্য নয়। কিন্তু তার জন্য শুটিং বন্ধ রাখলে আদপে ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy