গত ১২ জুন লন্ডনে পোলো খেলতে খেলতে আকস্মিক মৃত্যু হয় সঞ্জয় কপূরের। তিনটে বিয়ে তাঁর। অভিনেত্রী করিশ্মা কপূরকে বিয়ের পর সব চেয়ে বেশি চর্চা হয় তাঁকে নিয়ে। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের পর সঞ্জয়ের নামে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন করিশ্মা। তবে প্রাক্তন স্বামীর শেষকৃত্য, স্মরণসভা— সবেতেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। সোনা কমস্টার সংস্থার মালিক ছিলেন সঞ্জয়। প্রায় ৩৯,০০০ হাজার কোটি টাকার সংস্থার কর্ণধার। তিনি নাকি বাঁচতে চেয়েছিলেন ১০০ বছর! কিন্তু মাত্র ৫৩-য় থমকে গেল জীবনে। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর তাঁর সংস্থার দায় ভার নিয়ে তাঁর বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া কপূর। এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! ছেলের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই জানাসেন সঞ্জয়ের মা। তিনি আরও জানান, তাঁকে জোর করে কোনও একটা কাগজে সইসাবুদ করিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি সঞ্জয়ের মা রানি বলেন, ‘‘১২ জুন, আমার ছেলে সঞ্জয় কপূর যুক্তরাজ্যে অত্যন্ত সন্দেহজনক ভাবে মারা যায়। সমস্ত প্রচেষ্টা করেও, আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে উত্তর পাচ্ছি না। তথ্য খোঁজার পরেও, আমি ঘটনাটির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কোনও প্রাসঙ্গিক উত্তর এবং নথি পেতে পাইনি এবং মিডিয়ার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যর উপর ভরসা করতে হচ্ছে। আমরা যখন শোকের মধ্যে আছি, তখন কিছু লোক পারিবারিক উত্তরাধিকার দখল করার চেষ্টা করছে।’’ তিনি এও জানান, ছেলের সোনা গ্রুপ অফ কোম্পানিজ়ের বোর্ডে কাউকে যুক্ত করার জন্য এখনও পর্যন্ত সম্মতি দেননি তিনি। সঞ্জয়ের মা রানি আরও অভিযোগ করেন, ছেলের অ্যাকাউন্টগুলিতে তাঁকে এখনও ‘পূর্ণ অ্যাকসেস’ দেওয়া হয়নি। কয়েকজনের করুণার উপর নির্ভর করছে আমার বেঁচে থাকা। আমার একমাত্র ছেলে মারা যাওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের এত কিছু হয়ে গেল। আমাকে দিয়ে এমন কিছু নথিপত্র সই করিয়ে নেওয়া হয় যেগুলো পড়ে অর্থ বুঝতে পারিনি।’’ সঞ্জয়ের মায়ের এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে সঞ্জয়ের মৃত্যু নিয়ে! আদৌ কি স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর, না কি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিই কাল হল সঞ্জয়ের?