২০১৬ সালে অভিনেত্রী করিশ্মা কপূরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর ২০১৭ সালে প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন সঞ্জয় কপূর। প্রায় পাঁচ বছর প্রেমপর্বের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বড় ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে প্রিয়া। বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই বস্টনে চাকরি করতেন। সেই সঙ্গে মডেলিংয়েরও শখ ছিল তাঁর। অভিনেত্রী করিনা কপূরের সঙ্গে এক ফ্রেম ভাগ করে নেন প্রিয়া। সাবানের বিজ্ঞাপনে করিনার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াকে। বলিউডে সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি প্রিয়া।
‘যশরাজ প্রোডাকশন’ প্রযোজিত ‘নীল অ্যান্ড নিকি’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেটাই প্রিয়ার অভিনয় জীবনের প্রথম এবং শেষ ছবি। তার পর আর তাঁকে সে ভাবে দেখা যায়নি। ২০০৬ সালে আমেরিকার হোটেল ব্যবসায়ী বিক্রম চাটওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন প্রিয়া। কিন্তু সেই সংসার টেকেনি। বিশাল আয়োজন হয়েছিল। দশ দিন ধরে চলেছিল প্রিয়া আর বিক্রমের বিয়ে। বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছিলেন নিমন্ত্রিতেরা। বিয়ের পরেই মেয়ে সফিরা চাটওয়ালের জন্ম দেন প্রিয়া।
আরও পড়ুন:
স্বামীর অতিরিক্ত মাদকাসক্তির কারণেই সংসার ভাঙে প্রিয়ার। ২০১১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তার এক বছর পর, অর্থাৎ ২০১২ সালে সঞ্জয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। বিয়ের পর সুখেই সংসার করছিলেন তাঁরা। ২০১৮ সালে জন্ম হয় প্রিয়া এবং সঞ্জয়ের ছেলে আজ়ারিয়াসের। পরবর্তী কালে অনেক সাক্ষাৎকারেই বাবা সঞ্জয়ের বিপুল প্রশংসা করেছেন প্রিয়া। প্রাক্তনদের সঙ্গে তাঁদের যেমন সমীকরণই হোক না কেন, চার ছেলেরমেয়ের মধ্যে কোনও দিন কোনও সমস্যার আঁচ ফেলতে দেননি তাঁরা। চার ভাইবোনের মধ্যে সখ্য গড়ে উঠেছিল। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর তাঁদের সমীকরণ কোন দিকে মোড় নেবে তা অবশ্য বলা কঠিন।