প্রায় আট মাস আগের কথা, অভিনেত্রী রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর স্বামী অরিন্দম চক্রবর্তীর দাম্পত্য কলহ প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পর নাকি শুধু ছেলেমেয়ের মুখ চেয়ে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভেবেও পিছিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী। হাওড়ার ফ্ল্যাটে ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু এত কিছুর পরেও যে তাঁর সঙ্গে এমন ঘটবে তা ভাবতে পারেননি। রিয়া বললেন, “প্রতি সপ্তাহে ছেলেমেয়ের সঙ্গে দেখা করে যেত অরিন্দম। গত কয়েক মাসে তা অনেকই কমে গিয়েছে। তখনই আমি আঁচ করছিলাম। এখন যা জানতে পেরেছি এ বার বড় সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।” রিয়ার শ্বশুরবাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্টে। আর হাওড়ায় স্বামীর সঙ্গে যৌথ ভাবে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রীর দাবি, এখন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করেন স্বামীর প্রেমিকা। রিয়া বললেন, “শাশুড়ি মা অসুস্থ, নাতি-নাতনিকে দেখতে চাইছিলেন। তাই নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে। তখনই জানতে পারি স্বামীর প্রেমিকা নিয়মিত সে বাড়িতে যাতায়াত করেন। কোনও কোনও দিন থেকেও যান। আমায় শ্বশুরমশাই তাঁকে মেনেও নিয়েছেন। আমিও শোয়ার ঘরে সেই মহিলার অনেক জিনিস দেখেছি।” রিয়ার দাবি, আপোস বিচ্ছেদের জন্য চাপ দিচ্ছেন তাঁর স্বামী। কিন্তু ছেলেমেয়েকেও তিনি নিতে চান নিজের কাছে। স্ত্রীকে কোনও খোরপোশ তিনি দিতে পারবেন না। এ কথা বলতে বলতে রীতিমতো ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। দুই ছেলেমেয়েকে বড় করার জন্য সুস্থ পরিবেশ দিতে চান তিনি। রিয়া বললেন, “আমার ছেলেমেয়েকে কিছুতেই কাছ ছাড়া করতে পারব না। এত সহজে কী করে ছেড়ে দেব আমি! টাকাপয়সা তো দরকার। চেষ্টা করছি শীঘ্রই যাতে ধারাবাহিকে ফিরতে পারি।”