টেলিপাড়ায় কানাঘুষো, বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলে টেকনিশিয়ানেরা কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। যার জেরে ইতিমধ্যেই নাকি স্থগিত তিনটি নতুন ধারাবাহিকের কাজ। তালিকায় ‘দাদামণি’, ‘কুসুম’, ‘রাণী ভবানী’। এ দিকে, জ়ি বাংলায় খুব শীঘ্রই নাকি আসতে চলেছে আরও একটি নতুন ধারাবাহিক, অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রযোজনায়। গুঞ্জন, বাংলায় কাজের নিত্যদিনের এই সমস্যার জেরে নাকি মুম্বইয়ে পাকাপাকি ঘাঁটি গাড়বেন প্রযোজক।
যা রটেছে সেটাই কি ঘটতে চলেছে? জানতে চেয়ে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। অর্কের সাফ জবাব, “তিন বছর অন্তর ফেডারেশনের ছত্রছায়ায় বেতনবৃদ্ধির দাবি জানান টেকনিশিয়ানরা। এটা একেবারেই অন্যায্য নয়। এর জন্য নিজের শহর ছেড়ে অন্য শহরে গিয়ে কাজ করব, এ রকম খবর একেবারেই মিথ্যা। আমি এই শহরেই থাকব।”
অর্ক বিষয়টি নিয়ে বিশদে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন। টেকনিশিয়ানদের বেতনবৃদ্ধির দাবি নিয়ে তাঁর যুক্তি, “সমস্ত অফিসেই নির্দিষ্ট আর্থিক বছর অন্তর বেতনবৃদ্ধির দাবি ওঠে। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে দাবি তুললে সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়। এখন আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থা যেখানে প্রযোজনা সংস্থার বাজেট বাড়ছে বহু বছর ধরে। এই অবস্থায় চ্যানেল যদি বাজেট বাড়িয়ে দিতে পারে তা হলে প্রযোজকদের কোনও আপত্তিই নেই। এটা বুঝতে হবে, প্রযোজকেরা এতটাও অমানবিক নন যে, টেকনিশিয়ানদের বেতনবৃদ্ধিতে বাধা দেবেন।” তাঁর মতে, বেতনবৃদ্ধির দাবি সমস্যা নয়। সমস্যা, দাবি তুলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া। লোককে বলা, অর্থের পরিমাণ নির্দিষ্ট না করলে কাজ করা হবে না— এই ধরনের বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়। তিন বছর অন্তর বেতনবৃদ্ধির দাবিকে তিনিও সমর্থন করেন। অর্কের কথায়, “কাজ বন্ধ করে টাকা চাইলে সমস্যার সমাধান হবে না। আগে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়াটাই মনে হয় সঠিক পন্থা।”
আরও পড়ুন:
নিজের কাজ প্রসঙ্গে অর্ক আরও বলেন, “আমি মুম্বই ছেড়েছি কলকাতায় কাজ করব বলে। সে রকম হলে সেখানেই থেকে যেতে পারতাম।” তাঁর মতে, কাজের জন্য তিনি সর্বত্র যেতে রাজি। কিন্তু পাকাপাকি বাংলা ছাড়ার প্রশ্নই নেই। প্রসঙ্গত, শুধুই বাংলা নয়, বলিউডেও নতুন হিন্দি ধারাবাহিক আনছেন তিনি। নাম ‘বড়ি ঘর কি ছোটি বহু’। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন আধিক মেহতা, সোনাল খিলওয়ানি। এক নিম্নবিত্ত বাড়ির মেয়ের বিয়ে হবে ধনী পরিবারে। নিজেকে সেই পরিবারে মানিয়ে নিতে গিয়ে প্রচুর ঝড় আসবে মেয়েটির জীবনে। কী ভাবে সে ঝড় সামলাবে? সেই নিয়ে আবর্তিত হবে গল্প।