ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেন শাকিব খান? —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ওপার বাংলার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন শাকিবের ছবির প্রযোজক রহমত উল্লাহ। চারিদিকে যখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তুঙ্গে, তখনই প্রযোজকের সঙ্গে এক টেবিলে মুখোমুখি বসলেন শাকিব, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর এমনটাই। এক ঘণ্টা ধরে নাকি আলোচনা চলেছে তাঁদের।
রহমতের দাবি, এই বিতর্ক মীমাংসা করার উদ্যোগ নেন শাকিব নিজেই। কিন্তু আদৌ কি কোনও মীমাংসা হল? প্রযোজকের কথায়, “না, এখনও কোনও মীমাংসা হয়নি। তবে নায়ক আমায় আশ্বাস দিয়েছেন যে, হয় তিনি ছবি করে দেবেন, না হলে যত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এখনও পর্যন্ত তা ফেরত দেবেন। তবে আমি যে আর এই ছবিটি করতে চাই না সে কথাও স্পষ্ট বলে দিয়েছি।” প্রযোজকের কথা শুনে নতুন প্রযোজক খোঁজার কথাও নাকি উল্লেখ করেছেন । তবে রহমতের দাবি, সমস্ত ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি শাকিব।
ঘটনার মীমাংসার এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, “আমরা মীমাংসার লক্ষ্যেই বিকাল ৫টা থেকে ৬টা বসেছিলাম। আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। এখনও মীমাংসা হয়নি। আবারও বসব আমরা আলোচনায়।” প্রযোজক সমিতির নেতার থেকে নায়কের ধর্ষণ প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সবাই তো মীমাংসা চান, সে জন্যই আসছেন। সে সব নিয়েই শাকিব কথা বলেছেন। তিনিও একটা সমাধান চান। সে লক্ষ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ এটুকু নিয়েই কথা হয়েছে।”প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং চলাকালীন শাকিবের কাণ্ডের কথা অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তাঁর প্রযোজক। সেই অভিযোগপত্রে প্রযোজক বলেন, “২০১৭ সালে এই ছবির শুটিং চলাকালীন অসদাচরণ করেন শাকিব। মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “নিয়মিত যৌনপল্লিতে যেতেন তিনি। আর তা না হলে অস্ট্রেলিয়ার হোটেলে যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হত। এটা ছিল প্রতি দিনের অভ্যাস। তাঁর এই অভ্যাসের শিকার আমার এক সহ-প্রযোজকও। কৌশলে আমার এক মহিলা সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়।” সেই ঘটনার মাঝে লুকিয়ে পালিয়ে আসেন নায়ক। তবে পরে এক বার অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ নাকি তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy