Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাটরিনার চুলের গোপন কথা

ব্যাপারটা নিয়ে একটা খচখচানি ছিলই মেয়ের মনে। এগনোর আগে বিস্তর চুলচেরা হিসেব-নিকেশও করেছিলেন তিনি। হাজার হোক, চুল বলে কথা! তার জন্য যা হোক একটা সিদ্ধান্ত তো আর চুলবুল করে নেওয়া যায় না। তবে ওই ভাবতে যত ক্ষণ! তার পরেই এক মাথা ঢেউ খেলানো লাল চুলে দুনিয়াকে চমকে দিলেন ক্যাটরিনা। কান-এর ছবির উত্সবে। সেখানে মেয়ের পায়ের তলায় লাল গালচে, পা বেয়ে গোটা শরীর ছেয়ে লাল গাউন, ঠোঁটে লাল ইশারা আর মাথা বেয়ে খোলা দুই কাঁধে ঝাঁপিয়ে পড়া লাল চুল!

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৫ ০০:০২
Share: Save:

ব্যাপারটা নিয়ে একটা খচখচানি ছিলই মেয়ের মনে। এগনোর আগে বিস্তর চুলচেরা হিসেব-নিকেশও করেছিলেন তিনি। হাজার হোক, চুল বলে কথা! তার জন্য যা হোক একটা সিদ্ধান্ত তো আর চুলবুল করে নেওয়া যায় না। তবে ওই ভাবতে যত ক্ষণ! তার পরেই এক মাথা ঢেউ খেলানো লাল চুলে দুনিয়াকে চমকে দিলেন ক্যাটরিনা। কান-এর ছবির উত্সবে। সেখানে মেয়ের পায়ের তলায় লাল গালচে, পা বেয়ে গোটা শরীর ছেয়ে লাল গাউন, ঠোঁটে লাল ইশারা আর মাথা বেয়ে খোলা দুই কাঁধে ঝাঁপিয়ে পড়া লাল চুল!

ঘটনাটা কি ফ্যাশনিস্তার নেহাতই রঙের মিল রাখা?

আদপেই নয়। ওই লাল চুল নিয়েই এখন বেশ কয়েক হপ্তা ছেলেদের আর মেয়েদের মনে ঝড় তুলবেন ক্যাটরিনা। ছেলেরা ওই লাল চুল দেখে নতুন করে ভালবাসবে তাঁকে। আর তার পর হয়তো এক মাথা লাল চুলই হয়ে উঠবে মেয়েদের জন্য নয়া স্টাইল স্টেটমেন্ট। কে বলতে পারে!

তা, এই লাল চুলের বাহার কি মেয়ের মনের মানুষটিকে ভোলানোর জন্য?

উঁহু! ক্যাটরিনার এই লাল চুলের পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য। মেয়ের কানে বুদ্ধিটা দিয়েছিলেন পরিচালক অভিষেক কপূর। এর আগে যিনি বারো ঘণ্টারও বেশি সময় নায়িকাকে বাধ্য করেছিলেন ‘লাভ-মেকিং’-এর জন্য। তারই আর একটা ধাপ এই চুলে লালের ছোঁওয়া।

অভিষেকের ‘ফিতুর’ নামে যে ছবিটায় অভিনয় করছেন ক্যাটরিনা, তার নায়িকা চরিত্রটা নাকি খুব অন্য রকম। ফিরদৌস নামের সেই মেয়ে ডানাকাটা পরী হলেও মোটেও নরমে-সরমে গড়া নয়। তার মেজাজ বরং বেশ গরমই! সেই মেয়ে যেন ঠিক আগুন দিয়ে গড়া। তার স্বভাবের সঙ্গে রূপের মিল রাখার জন্যই এই চুল রাঙানোর তোড়জোর।

“কাজ করতে গিয়ে ঠিক এক সময়ে আমাদের দু’জনেরই মনে হয়েছিল এই চরিত্রটা আর পাঁচটা মেয়ের মতো নয়। এটি নতুন এক চরিত্র যার সঙ্গে আমাদের খুব একটা চেনাজানা নেই। ঠিক যেন সে আগুন দিয়ে গড়া। তখনই আমার আর অভিষেকের একসঙ্গে মনে হয়, ওর চুল লাল রঙের হওয়া উচিত। ব্যস, সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিই”, বলছেন ক্যাটরিনা।

তবে যত সহজে নায়িকা বলেছেন এই কথা, ব্যাপারটা কিন্তু ততটা সহজ ছিল না। অভিষেক নাকি ভীষণই উত্তেজিত ছিলেন ছবিতে নায়িকার লুক এমন হতে চলেছে ভেবে! ও দিকে, ভেতরে ভেতরে একটা চোরা চাপান-উতোরে ভুগছিলেন ক্যাটরিনা। ভয় পাচ্ছিলেন, চুলের কিছু হবে না তো!

“প্রথমটায় আমি খুব নার্ভাস ছিলাম! রং করলে চুলের কিন্তু অনেক সময় ক্ষতিই হয়! বিশেষ করে চুল যদি লম্বা হয়। তাই আমি ব্যাপারটা নিয়ে একটা ছোটখাটো রিসার্চ সেরে ফেললাম। ভাবলাম, কোথায় গিয়ে কাজটা করানো যায়! তবে শেষ অবধি তো দেখলাম ব্যাপারটা উতরে গেল”, জবানবন্দি নায়িকার!

প্রশ্ন হল, নায়িকা কোথায় গিয়ে পেলেন চুলে এমন লাল বাহার?

ক্যাটরিনার মতো নামজাদা নায়িকা তো আর যে-সে জায়গায় যাবেন না! সটান গিয়ে কন্যে মাথা পেতে দিলেন এক দুনিয়া-কাঁপানো হেয়ার-স্টাইলিস্টের দরবারে। ড্যানিয়েল গ্যালভিন নামে এই ভদ্রলোক এর আগে ম্যাডোনা আর লেডি ডায়ানারও চুলের যত্নআত্তি করেছেন। তবে আর চিন্তা কী!

চিন্তাটা শুধু সময় নিয়ে। ব্যস্ত এই নায়িকাকে চুল লাল করার জন্য সময় দিতে হল ঝাড়া এক দিন আর একটা গোটা বেলা! “ঠিক দেড় দিন সময় লাগল চুল রং করাতে! প্রথম দিনটায় আমি সালঁয় একটানা আট ঘণ্টা বসে ছিলাম। পরের দিন ফের যেতে হল সেখানে”, কবুল ক্যাটরিনার।

এখন নায়িকা যা-ই বলুন না কেন, নিন্দুকরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা। চার্লস ডিকেন্সের ‘গ্রেট এক্সপেকটেশন’ নামে যে উপন্যাসের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘ফিতুর’, তার নায়িকা এসেলার ছিল এক মাথা সোনালি চুল। সেই মিল ভারতীয় চরিত্রে রাখার জন্যই নাকি এত সব! তা ছাড়া, ইসলাম নন্দনতত্ত্বে তো হেনা-ছোপানো এক মাথা লাল চুলের খ্যাতি আছেই। সেই সব চুলচেরা বিচার করেই নাকি নায়িকা আর পরিচালকের এমন ফন্দি!

তা, ক্যাটরিনা কী বলছেন তাঁর লাল চুল নিয়ে?

“আমি খুব খুশি”— ব্যস, এই টুকুতেই মনের কথা উজাড় করছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

katrina kaif Bollywood hair actress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE