দু’সপ্তাহে দু’বার মাঠবদল করল কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা। প্রথমে ঠিক ছিল, বিজয় হজারে ট্রফিতে বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থের দিল্লির সব ম্যাচ হবে আলুরে। কিন্তু সুরক্ষা ও প্রযুক্তির কারণে সেখান থেকে খেলা সরিয়ে আনা হয় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। এ বার সেখান থেকেও সরে গেল খেলা। মঙ্গলবার কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দিল্লির সব ম্যাচ হবে বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে।
জানা দিয়েছে, কর্নাটরের স্বরাষ্ট্র দফতর এই নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থাকে। বুধবার দিল্লির মুখোমুখি হবে অন্ধ্রপ্রদেশ। দুই দলকেই মঙ্গলবারের অনুশীলনের আগে এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিন্নাস্বামীর বদলে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সেই অনুশীলন করবেন তাঁরা।
কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, সব ম্যাচ দর্শকশূন্য মাঠে খেলা হবে। বেঙ্গালুরু পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করতে। কোনও ভাবেই যাতে কেউ মাঠে ঢুকতে না পারেন, সে দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এর আগে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে দলীপ ট্রফি, মহিলাদের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত এ দলের ম্যাচ হয়েছিল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই অ্যাকাডেমিতে চারটি বিশ্বমানের মাঠ রয়েছে। ফলে সেখানে ম্যাচ আয়োজনে কোনও সমস্যা হবে না।
প্রথমে আলুরে সব ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যে হেতু কোহলি ও পন্থ খেলছেন, তাই আলুর থেকে চিন্নাস্বামীতে খেলা সরানো হয়। আলুরে খেলা হলে প্রযুক্তি ও নিরাপত্তার সমস্যা হত। চিন্নাস্বামীতে সেই সমস্যা ছিল না। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা প্রথমে ভেবেছিল, চিন্নাস্বামীতে মাঠের দু’টি স্ট্যান্ড খোলা থাকবে। তা হলে দুই থেকে তিন হাজার দর্শক খেলা দেখতে পেতেন। কিন্তু কর্নাটক সরকার সেই রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থাকে সতর্ক করে। তারা জানিয়ে দেয়, পদপিষ্টকাণ্ডের পর থেকে এমনিতেই চিন্নাস্বামীর দিকে সকলের নজর রয়েছে। মার্চ মাসে সেখানে আইপিএল হওয়ার কথা। এই সময় যদি আবার কোনও সমস্যা হয়, তা হলে আইপিএলের ম্যাচ সেখান থেকে সরে যেতে পারে। তেমনটা চাইছে না রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন:
সোমবার চিন্নাস্বামীতে গিয়েছিল সরকারের নিযুক্ত একটি কমিটি। তারা সেখানকার সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট দেওয়া হয়। তার পরেই মাঠবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন কোহলি ও পন্থ। ৪ জুন শেষ বার চিন্নাস্বামীতে গিয়েছিলেন কোহলি। সে দিনই আইপিএলের উল্লাসের সময় পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে তার পরেও বিজয় উদ্যাপন থামেনি। তা নিয়ে সমালোচনাও হয়েছিল। আবার সেই শহরেই খেলবেন কোহলি। কিন্তু সেই মাঠে নামা হবে না তাঁর।