অ্যাশেজ় সিরিজ়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভরাডুবি হালকা ভাবে নিচ্ছে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। দুই টেস্ট বাকি থাকতেই সিরিজ় হেরে গিয়েছেন বেন স্টোকসেরা। কেন এই খারাপ হাল? নেপথ্যে কি অতিরিক্ত মদ্যপান? তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি-কে।
ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর নুসা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়েছিল এই পরিকল্পনা। দলকে চাপ কাটানোর জন্য সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নুসায় গিয়ে কি অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা?
মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টে নামার আগে রব জানিয়েছেন, সব বিষয় খতিয়ে দেখবেন তিনি। ইংল্যান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, “অনেকেই অভিযোগ করছে, নুসায় দলের ক্রিকেটারেরা অতিরিক্ত মদ্যপান করেছে। যদি সেটা হয় তো অন্যায় হয়েছে। একটা জাতীয় দলের ক্রিকেটারেরা কখনওই সিরিজ়ের মাঝে অতিরিক্ত মদ্যপান করতে পারে না। তবে এখনও সে রকম কোনও খবর আমি পাইনি।”
রবের মতে, মদ্যপান কখনওই খেলার চাপ কমাতে পারে না। তিনি বলেন, “আমি নিজে কোনও দিন মদ্যপান করিনি। মদ্যপান করলে চাপ কমে না। যারা এ সব বলে, তারা নিজেদের মতো করে যুক্তি খাড়া করে। উল্টে সিরিজ়ের মাঝে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে খেলায় মনঃসংযোগে সমস্যা হয়। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তো কাউকে রেয়াত করা হবে না।”
আরও পড়ুন:
সিরিজ়ের মাঝে চাপ কাটাতে বিশ্রাম প্রয়োজন। তবে সেটা অন্য ভাবেও করা যায়। রব বলেন, “ওরা যদি নুসায় গিয়ে নিজেদের ফোন বন্ধ করে বিশ্রাম নিত, খাওয়া-দাওয়া করত, সমুদ্রসৈকতে ঘুরত, তা হলে কারও কিছু বলার থাকত না। আমি যত দূর শুনেছি ওরা সে ভাবেই সময় কাটিয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ অভিযোগ করছে। আসলে এই দলের অনেক ক্রিকেটারের অতিরিক্ত মদ্যপানের অতীত ইতিহাস আছে। তাই সেই অভিযোগ ফেলে দেওয়াও যায় না।”
ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুক ও জেকব বেথেলকে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল ক্রিকেট বোর্ড। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের আগে দু’জনের মদ্যপানের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। এই প্রসঙ্গে রব বলেন, “কেউ যদি নৈশভোজের পর অল্প মাত্রায় মদ্যপান করে তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কেউ অতিরিক্ত মাত্রায় তা করে তা হলে সমস্যা। ব্রুকদের ঘটনার পর বোর্ড আরও সতর্ক হয়েছে।”
অ্যাশেজ়ের তিন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড। অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে স্টোকসদের। এখনও দু’ম্যাচ বাকি। এখন থেকেই চুনকামের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ইংরেজ সমর্থকদের মনে। সেটা সত্যি হলে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে আরও একটি লজ্জার অধ্যায় যুক্ত হবে। সেই চাপের মধ্যে এই তদন্ত স্টোকসদের চিন্তা আরও বাড়াবে।