বছরের শেষ সপ্তাহ মানেই সকলেই পার্টি মুডে। বড়দিন উপলক্ষে বলিউডের তারকারা মেতেছিলেন আনন্দে। লাল রঙের পোশাক, জমকালো সাজ, কেক, ওয়াইন— সব মিলেমিশে একাকার হয়েছিল। পিছিয়ে নেই টলিপাড়ার তারকারাও। সারাবছর প্রতিযোগিতা থাকলেও উৎসবের দিনে তাঁরা একসঙ্গে। এক দিকে বড়দিন, আর অন্য দিকে একসঙ্গে তিনটি বাংলা ছবির মুক্তি। সব মিলিয়ে টলিতারকারাও উদ্যাপনের মধ্যে দিয়ে কাটালেন এই দিন। পাশাপাশি এই দিনই টলিতারকা দেবের জন্মদিন। সেই উদ্যাপনও চলল টালিগঞ্জে।
জন্মদিনে মুক্তি পেয়েছে দেবের ছবি ‘প্রজাপতি ২’। ছবির বিশেষ প্রদর্শনে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি, অনুরাগীদের সঙ্গে কেক-কাটা পর্ব সেরেছেন দেব। তবে সবশেষে তাঁর জন্মদিনের পার্টি। টলিপাড়া তাঁকে ‘মেগাস্টার’ বলে ডাকে। তাই তাঁর জন্মদিনের জন্য মুখিয়ে ছিলেন সকলেই। পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ সেন, অতনু রায়চৌধুরী-সহ ‘প্রজাপতি ২’-এর কলাকুশলী সকলেই। দেবের সঙ্গে রং মিলিয়ে কালো পোশাকে উপস্থিত ছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। পোশাকে রংমিলন্তি করে দেবের জন্মদিনের পার্টিতে পৌঁছেছিলেন টলিপাড়ার আরও এক তারকাদম্পতি— সোহিনী সরকার ও শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। সোহিনী-শোভন ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন। “আমরা অনেকটা রাতে পৌঁছোই। দেব খুবই উচ্ছ্বসিত ছিল ‘প্রজাপতি ২’ নিয়ে। পার্টিতে ছবির গানগুলিই বাজছিল। সকলে মিলে একসঙ্গে ভালই কাটল আমাদের বড়দিন,” বলেন শোভন।
টলিপাড়ার একাধিক পার্টিতে এই দিন উপস্থিত ছিলেন অনুষা বিশ্বনাথন। তাঁর বড়দিনের সকাল হয়েছে কিছুটা দেরিতে। কারণ ‘ক্রিসমাস-ইভ’ অর্থাৎ বুধবার রাত থেকেই পার্টি করছেন তিনি। অঞ্জন দত্তের বাড়িতে ক্রিসমাস-ইভের পার্টি হয় প্রতি বছরই। সেই জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ২৫ ডিসেম্বর একসঙ্গে পার্টি করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পিয়া চক্রবর্তী, গৌরব চট্টোপাধ্যায় (গাবু), অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, উপল সেনগুপ্ত। ‘প্রজাপতি ২’-এর বিশেষ প্রদর্শন থেকে ঘুরে এসেই স্ত্রীকে নিয়ে পরমব্রত পৌঁছে গিয়েছিলেন সেই নৈশপার্টিতে। অনুষাও ছিলেন সেখানে। খুব অল্প সময় থাকে সকলের কাছে সারাবছর। তাই এই দিনগুলোয় একসঙ্গে সময় কাটানোর আকর্ষণ সকলের কাছেই সমান, জানান অনুষা। তাঁর কথায়, “রাত করে পৌঁছোলেও সকলের সঙ্গে দেখা হল। গানবাজনায় কাটল রাতটা।”
আরও পড়ুন:
ঋতাভরী চক্রবর্তীর বাড়ির অন্দরসজ্জা প্রায়ই সমাজমাধ্যমে নজর কাড়ে। তাঁর মিনিয়েচার সংগ্রহ অনুরাগীদের কাছে খুব লোভনীয়। ক্রিসমাস ট্রি-ও সাজিয়েছেন মনের মতো করে। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন অনুষা ও লেখা চট্টোপাধ্যায়। অনুষার কথায়, “ঋতাভরীর বাড়িতেও একটা ‘গেট টুগেদার’ ছিল। আসলে আমরা চেয়েছিলাম এ বছর ঋতাভরীর সঙ্গে ক্রিসমাস ট্রি সাজাব। সেটাও হয়েছে।”
প্রতিবছর বড়দিনে একসঙ্গে সময় কাটান টলিপাড়ার বন্ধু মিমি চক্রবর্তী ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। এই বছরও ব্যতিক্রম নয়। সমাজমাধ্যমে তাই অভিনেতা লিখেছেন, “প্রতি বছর বড়দিনে টেবিল একই থাকে। স্বচ্ছন্দও একই রকম থাকে। সময় এগিয়ে যায়। কিন্তু এরা বদলায় না।”
এক দিকে নিজের ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির প্রচার, আর একদিকে পরিবারকে সময় দেওয়া— দুই দিক সুন্দর সামলাচ্ছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ছবিমুক্তি ঘিরে আনন্দ তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে তাঁর আনন্দ বাড়িয়েছেন স্বামী, দুই সন্তান ও পরিবার। বড়দিনে টলিপাড়ার অন্য কোনও পার্টিতে নেই রাজ-শুভশ্রী। পরিবারের অন্দরেই নিজেদের মতো করে উদ্যাপন করলেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন রাজের দিদি, ভাগ্নি-সহ আরও অনেকে। রাজ বলেন, “বাচ্চাদের জন্য প্রতিটি অনুষ্ঠানেই পরিবারের সকলকে বাড়িতে ডাকি। কালও সকলে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি, সময় কাটিয়েছি, গানবাজনা করেছি।” লাল রঙের পোশাক থেকে, সান্টা টুপি, ক্রিসমাস ট্রি ও কেককাটা— সব রীতি মেনেই বড়দিন উদ্যাপন করলেন রাজ-শুভশ্রী।