গত বছরটা নিঃসন্দেহে ছিল ক্যাপ্টেন আমেরিকা ও মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের সদস্যদের। কিন্তু সুপারহিরো ছবির ভক্তকুল এ বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে ‘থর: র্যাগনোরক’-এর উপর। ক্রিস হেমসওয়র্থকে নিয়ে ‘থর’ সিরিজের এটা তৃতীয় ছবি। প্রথম দুটোই বক্স অফিসে সফল ছিল। ট্রেলার রিলিজ করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক...
শেষের শুরু
কমিক দুনিয়ায় নর্স মিথোলজিতে ‘র্যাগনোরক’ কথার অর্থ হল শেষের দিন। এমন এক সময় যখন প্যান্থেয়নে মারা যায় অনেক। শেষ ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ ছবিতেও তার ইঙ্গিত ছিল। থরের জন্য যে ভয়ঙ্কর কিছু আসতে চলেছে, সেটা বোঝা গিয়েছিল। আর এ ছবির ট্রেলারে থরের অস্ত্র হ্যামার বা হাতুড়ি ভেঙে যাওয়া কি তেমন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে! তাই গল্পের শেষ দেখতে আগ্রহের শেষ না থাকাই স্বাভাবিক।
হাল্ক দোসর
শ্যুটিং শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায় থরের ছবিতে হাল্কের উপস্থিতি নিয়ে। শ্যুটিং যত এগোতে থাকে, এ ছবিতে হাল্কের উপস্থিতি ততই স্পষ্ট হয়। জানা গিয়েছে, ব্রুস ব্যানার আসলে থরের সঙ্গে এক রোড ট্রিপে বেরিয়ে পড়ে। মার্ভেলের সিনেমা জগতে হাল্ক অন্যতম শক্তিশালী চরিত্র। কিন্তু হঠাৎ হাল্ককে কেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হল! মার্ক রাফালো অবশ্য কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁর চরিত্র নাকি অনেক কমিক এলিমেন্ট আনবে।
ছকভাঙা পরিচালক
মজার অনেক মুহূর্ত যে এ ছবিতে আসতে চলেছে, সেটা অনেক দিন আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাইকা ওয়াইতিতিকে ‘থর: র্যাগনোরক’ ছবির পরিচালনার ভার দেওয়াটা প্রাথমিক ভাবে অবাক করে দিলেও, আসল কারণটা নিঃসন্দেহে ছবিতে মজার মুহূর্ত আমদানি করা। না হলে আর এক ইন্ডি পরিচালককে এত বড় ছবির দায়িত্ব দেওয়ার ঝুঁকি কেন নেবে স্টুডিয়ো! ওয়াইতিতির ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নাম ‘হোয়াট উই ডু ইন দ্য শ্যাডোজ’।
মুখের মিছিল
প্রথম থেকেই একা থরের উপর নির্ভর করেনি স্টুডিয়োর কর্তাব্যক্তিরা। লোকি তো বটেই, লেডি সিফও ঢুকে গিয়েছে চিত্রনাট্যে। এ বার প্রায় গোটা পাঁচেক নতুন চরিত্র দেখতে পাওয়া যাবে ছবিতে। হেলা, ভ্যালকাইরি, গ্র্যান্ডমাস্টার, স্কার্জ...আসল চমক ডক্টর স্ট্রেঞ্জের উপস্থিতি।
ভিলেন যখন এগিয়ে
ডিসি কমিক্সের ক্ষেত্রে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায় যে, তাদের ভিলেন কিন্তু সুপারহিরোর সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দেয়। সবচেয়ে বড় উদাহরণ তো অবশ্যই জোকার। ফ্যানদের কাছে মার্ভেলে তেমনই একটা নাম ঘুরেফিরে আসে, লোকি। থরের ভাই হলে কী হবে, লোকিকে টেক্কা দিতে কালঘাম ছুটে যায় সুপারহিরোদের। আর এ বার তো যোগ হয়েছে আরও একজন। কেট ব্ল্যাঞ্চেট রয়েছেন হেলার চরিত্রে। ট্রেলারে থরের হ্যামারকে শুধু তো রুখে দেয়নি হেলা, সেটাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
ট্রেলারেই যখন সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়, তখন অনুমান করা যায়, পরের সপ্তাহে বড় পরদায় মুক্তি পাওয়ার পর থরকে নিয়ে হইচই কম হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy