নিজের জন্য কেনাকাটা করতে ভালবাসেন ঋতাভরী । বাড়ির সবার জন্য নতুন জামা কেনা হয় নববর্ষে, কেনেন অলঙ্কারও। ছবি—সংগৃহীত
পয়লা বৈশাখে সাজ সাজ রব টলি পাড়ায়। পুরোদস্তুর বাঙালি খানা এবং বাঙালি সাজে চোখধাঁধানো ছবি পোস্ট করছেন তারকারা। এ দিন কোনও কাজ নয়, শুধুই সাজ। এমনই কি পরিকল্পনা অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর?
আনন্দবাজার অনলাইনকে নায়িকা জানালেন, তিনি বাঙালিয়ানা বলতে বোঝেন সে সবই, যা বাঙালির এত দিনের সংস্কৃতিকে মনে করায়। ঋতাভরীর কথায়, ‘‘সেটা আমাদের খাওয়াদাওয়া, পোশাক, শিল্পচর্চা, গানবাজনা— সব কিছুর মধ্যে রয়েছে।’’
পয়লা বৈশাখে এই সব কিছুর মেলবন্ধন হয়। তাই ঋতাভরীর কাছেও এ দিনটা আলাদা জায়গা করে নেয়। বাঙালিয়ানার কথা মনে রেখেই এই দিনে বিশেষ সাজে সেজে উঠতে চান তিনি। জানালেন, লালপাড় সাদা শাড়ি পরেন এই দিনে, সঙ্গে থাকে গয়না, কপালে লাল টিপ। রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গেও বাঙালিয়ানার নিবিড় সংযোগের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বাঙালির ঘরে ঘরে এ দিন রবি ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ’ বাজবে না, তা কি হয়!’’
খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে বাঙালির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কথাও মনে করিয়ে দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘বাঙালি তো খাওয়াদাওয়া ছাড়া হয় না। মিষ্টিই বলি বা লুচি-তরকারি, মাংস বা ইলিশ— বাদ দেওয়া যায় না কোনওটাই।’’
নিজে কী ভাবে কাটান দিনটা? ঋতাভরী বললেন, ‘‘আমি নববর্ষের প্রথম দিন উপভোগ করি পরিবারের সঙ্গে বসে। পুরোদস্তুর বাঙালি থালি খাই এ দিন। অনেক রকম পদ থাকে তাতে।’’ ঋতাভরীর কথায়, তাঁরা সকলেই খেতে ভালবাসেন বলে মাছ, মাংস কোনওটাই বাদ দেন না।
তিনি জানালেন, চুলে ফুল লাগাতে ভালবাসেন। পয়লা বৈশাখের এর সম্পর্ক থাক বা না থাক, নিজেরাই তৈরি করে নিয়েছেন আনন্দ উদ্যাপনের এমন কিছু ধারা। শিকড় ছুঁয়ে থাকতে ভালবাসেন অভিনেত্রী। বললেন, ‘‘আমাদের জীবনে যুগ যুগ ধরে পূর্বপুরুষদের যে সব অবদান রয়েছে, সেগুলোকে আমাদের মন দিয়ে, কাজ দিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়াই বাঙালিয়ানা।’’
ঋতাভরী জানান, বাড়ির সবার জন্য নতুন জামা কেনা হয় এই উপলক্ষে। কেনেন অলঙ্কারও। নিজের জন্যও কেনাকাটা করতে ভালবাসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy