দেখা হয়েছিল। কিন্তু এক সঙ্গে কাজ করা হল না। ঋতুপর্ণ ঘোষকে নিয়ে আজও এই আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। তবে সেই আক্ষেপ কিছুটা কমিয়েছেন পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। তাঁর আসন্ন ছবি ‘গৃহপ্রবেশ’ উৎসর্গ করা হয়েছে ঋতুপর্ণ ঘোষকে। ছবির নায়িকা শুভশ্রী। ছবির প্রতিটি ফ্রেমেও রয়েছে ঋতুপর্ণের ছোঁয়া।
৩০ মে। এই দিনই প্রয়াত হয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। এই দিনেই মুক্তি পেল ‘গৃহপ্রবেশ’ ছবির ঝলক। ঝলক প্রকাশের অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণের স্মৃতিচারণে ডুব দিলেন শুভশ্রী। প্রতি বছর এই দিনটায় মন ভার থাকে তাঁর। তাই তিনি বললেন, “ ঋতুদার নাম উঠলেই মন ভারী হয়ে থাকে। ঋতুদা আর আমাদের মধ্যে নেই এটা ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যায়। ঋতুদার সঙ্গে তো আরও বেশি দেখা হওয়ার ছিল। সেটা আর হল না।”
হলুদ রঙের শাড়িতে সেজেছিলেন শুভশ্রী। ছবিতে তাঁর চরিত্র ‘তিতলি’ও ঋতুপর্ণের ছবি থেকে অনুপ্রাণিত। কিন্তু প্রয়াত পরিচালককে নিয়ে আক্ষেপ আজও আছে। শুভশ্রী বলেন, “ঋতুদার সঙ্গে কাজ করা হল না। ছোঁয়া হল না। মনে আছে, এমনই একটা অনুষ্ঠানে ঋতুদাকে দেখেছিলাম। ওঁকে দেখে আমি ক্যাবলা হয়ে গিয়েছিলাম। ওঁর দিকে হাঁ করে তাকিয়েছিলাম। সেটা ঋতুদা বুঝেছিলেন। সেটা বুঝে তিনিই নিজে আমার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি আমার নামটাও জানতেন, ছবিও দেখেছিলেন। বলেছিলেন, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ দেখেছিলেন। আমার কাছে তার থেকে বড় পাওনা আর কিছু হতে পারে না।”
‘গৃহপ্রবেশ’-এর পরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞ শুভশ্রী। অভিনেত্রীর কথায়, “আইডি (ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত) ঋতুদাকে এই ছবি উৎসর্গ করার কথা ভেবেছেন। তিনি তিতলি-র মধ্যে আমার মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন সেটার জন্য আমি কৃতজ্ঞ়। এই ছবির প্রতিটি দৃশ্যে, প্রতিটি ফ্রেমে ঋতুদার হাতের স্পর্শ পাওয়া যাবে, এটুকু প্রতিজ্ঞা করে বলতে পারি। ঋতুদা যেমন প্রতিটি ফ্রেমে জাদু তৈরি করতে পারতেন, সেটাই আইডি করেছে।”