২৫ বছরের বন্ধুত্ব তাঁদের। আলাপ সেই প্রথম ছবির পর থেকে। পর্দাভাগ করতে দুই যুগ কাটিয়ে ফেললেন জিৎ আর টোটা রায়চৌধুরী। শনিবার থেকে দুই ‘বন্ধু’ কলকাতায় শুটিং করছেন পথিকৃৎ বসুর ‘কেউ বলে বিপ্লবী কেউ বলে ডাকাত’ ছবিতে।
এই ছবিতে জিৎ বিপ্লবী অনন্ত সিংহ। টোটা রায়চৌধুরী সেই আমলের দুঁদে পুলিশ অফিসার।
‘বন্ধু’ জিৎকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। সুযোগ মিললেই আড্ডা দেন তাঁরা। সেখানে ছবির পাশাপাশি উঠে আসে নানা কথা। সেটে এই প্রথম তাঁরা মুখোমুখি। “অ্যাকশন বলার আগের মুহূর্তে জিৎ খুব চেনা। যখনই শব্দটা কানে গেল, ও যেন অন্য মানুষ!” শুটিংয়ের ফাঁকে সেট থেকে সরাসরি আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে আড্ডা দিলেন টোটা। জানালেন, এই ছবি ‘অভিনেতা’ জিৎকে দর্শকের সামনে আনতে চলেছে।
জিৎ অভিনয় পারেন, সে কথা এর আগে বলেছে পাভেল পরিচালিত ছবি ‘অসুর’। কিংবা নীরজ পাণ্ডের সিরিজ় ‘খাকী: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’। দুই ক্ষেত্রেই চেনা গণ্ডি ছেড়ে ভিন্ন চরিত্রে জিৎ। সমালোচকেরা তাঁর প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছেন। তার পরেও কেন তিনি শুধুই বাণিজ্যিক ঘরানার ছবির নায়ক?
প্রশ্ন করতেই টোটার সাফ জবাব, “আমরা অভিনেতা। জিৎ তো বাংলার ‘সুপারস্টার’! দীর্ঘ বছর ধরে এই তকমা ও বহন করে চলেছে। সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ধারার ছবিতে ইমেজ বদলানোর আগে ওকে তো দশ বার ভাবতে হবে। ‘সুপারস্টার’কে অন্য ধারার ছবিতেও সে রকম চরিত্র পেতে হবে, যা ওর তকমার সঙ্গে মানানসই। আমার মনে হয়, জিৎ তারই অপেক্ষায়। সে রকম চরিত্র পেলে রাজি হয়।”
আরও পড়ুন:
পর্দার ‘সুপারস্টার’ যতই ‘বন্ধু’ হোন, বাস্তব খুবই নির্মম। পর্দায় কেউ কাউকে এক ইঞ্চি ছেড়ে কথা বলেন না। এই ছবিতে জিতের পাশে টোটা কতটা গুরুত্ব পাবেন?
অভিনেতার মতে, “সকলেই এত দিনে জেনে গিয়েছেন, আমি খুব বেছে কাজ করি। অতীতের অনেক ভুল সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষা নিয়েছি। তাই সব দিক বিবেচনা করে রাজি হয়েছি।” কিন্তু এর আগেও বহু বার টোটা পুলিশ অফিসার। গত বছর প্রতিম ডি গুপ্তর ‘চালচিত্র’ ছবিতেও তিনি পুলিশ অফিসার হয়েছিলেন। এই ছবিতে নতুন কী দেওয়ার আছে তাঁর? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন তিনি। বলেছেন, “তা হলে টাইমলাইন বলে দিতে হয়। সেটা তো পারব না। তবে ‘লুক’ থেকে চরিত্রবিন্যাস— অনেক আলাদা। অনেক বছর পরে পুরনো টোটাকে দেখতে পাবেন আপনারা।”