স্কুলে পড়ার সময় থেকেই বিজ্ঞান তাঁর প্রিয় বিষয়। স্বপ্ন দেখতেন, বড় হয়ে নামকরা বিজ্ঞানী হবেন। তার উপরে বাড়ির প্রত্যেকে ভীষণ বিজ্ঞানমনস্ক। মুমতাজ সরকারের তাই বেশি মনোযোগ ছিল ওই বিষয়টির উপরে। যদিও তাঁর স্বপ্ন অধরা।
কিন্তু মন থেকে কিছু চাইলে সেটা নাকি ফলতে বাধ্য? আনন্দবাজার ডট কম-কে মুমতাজ তেমনই ইঙ্গিত দিলেন। বাস্তবে না হলেও, পর্দায় তিনি বিজ্ঞানী হয়েছেন পরিচালক অর্ক দাশগুপ্তের ছবি ‘পয়লা বৈশাখ’-এ। কল্পবিজ্ঞানের গল্প নিয়ে এই ছবি তৈরি। এমন ধারার ছবিতে অভিনেত্রী এই প্রথম, সে কথা জানাতে ভোলেননি। ছবির নায়কের জীবনে পয়লা বৈশাখ গুরুত্বপূর্ণ। বারে বারে এই বিশেষ দিন, বিশেষ ‘টাইমলাইন’ ধরে ফিরে এসেছে তার জীবনে, যে ‘পয়লা বৈশাখ’ সে কাটিয়ে এসেছে আগে। সে কথা নায়ক বলার চেষ্টা করেছে বাকিদের। কেউ তার কথা বিশ্বাস করতে পারেনি। ছবির গল্প মোটামুটি এই বিষয়ের উপরে ভিত্তি করেই তৈরি।
‘পয়লা বৈশাখ’-এর কথা বলতে গিয়ে শুরুতেই একরাশ আক্ষেপ। মুমতাজ বললেন, “বাংলায় এমনিতেই সায়েন্স ফিকশন কম হয়। সেখানে এই গল্প ভীষণ অন্য স্বাদের। ছবি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পেলে বেশি চর্চা হত।” কারণ, ইতিমধ্যেই নানা ভাষায় একাধিক এই ধারার ছবি মুক্তি পেয়েছে। তার পরেও ‘পয়লা বৈশাখ’কে ঘিরে তাঁর অনেক আশা। তিনি যেমন ছোট থেকে বাবা পি সি সরকার (জুনিয়র)-এর দৌলতে কল্পবিজ্ঞানের গল্প পড়তে বা দেখতে ভালবাসেন, তেমনই দর্শকও। শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’ ধারাবাহিকের নায়িকা শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়-সহ প্রত্যেকে খুব খেটেছেন। ছবির নায়ক নবাগত স্নেহম।
আরও পড়ুন:
মুমতাজকে নিয়ে কিছু কথা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচলিত। তাঁর ছবি মানেই অস্কারে মনোনয়ন। বাবা খ্যাতনামী বলেই ছবি নিয়ে মেয়ের এত বাছবিচার! দুটোই সত্যি?
নায়িকার কথায়, “প্রথম কথাটি প্রায় ঠিক। ২০১৭-য় অভিনীত ছবি ‘রক্তকরবী’ অস্কারে ‘লং লিস্ট’-এ গিয়েছিল। তার পর ইন্দিরা ধর মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘পুতুল’। দুটো ছবি অস্কারের তালিকায় থাকায় এ রকমও শুনেছি, আমার ছবি মানেই বিশ্বমানের ছোঁয়া।” তার পরেই ফাঁস, সব ঠিক থাকলে আগামী বছরে হলিউডেও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যেতে পারে। যদিও সে বিষয়ে এখনই সবিস্তার বলবেন না তিনি।
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “বাবা খ্যাতনামী। মা-বাবার সঙ্গে থাকি। তাঁদের ছায়া আমার মাথায়। সত্যিই আমি ভাগ্যবান। তার পরেও কলেজ থেকে নিজের খরচ নিজে জোগাই। ফলে, বাছবিচার সে কারণে নয়।” তাঁর দাবি, বাবার থেকেই শিখেছেন, অন্ধের মতো না দৌড়ে শান্ত মাথায় সঠিক জিনিস বাছতে। তাই একটু ভিন্ন স্বাদের গল্প, অন্য রকম চরিত্র পাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন মুমতাজ।