‘মেড ইন হেভেন’ ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করার পর থেকে রুপোলি দুনিয়ার পরিচিত মুখ ত্রিনেত্র হালদার গুম্মরজু। পেশায় চিকিৎসক হলেও, বর্তমানে তাঁর পরিচিতি অভিনেতা হিসাবেই। ত্রিনেত্র ভারতের প্রথম রূপান্তরকামী নেটপ্রভাবী। পুরুষ থেকে নারী হয়ে ওঠার সফর সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রূপান্তরকামী হিসাবে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
রূপান্তর প্রক্রিয়া চলার সময়ে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যেতে হত ত্রিনেত্রকে। এক দিন হাসপাতালের শৌচালয় ব্যবহার করতে গিয়ে অপ্রীতিকরক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। সে দিন তিনি মহিলাদের শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। আর তখনই ঘটে ভয়াবহ ঘটনা। ত্রিনেত্র বলেছেন, “হাসপাতালে এন্ডোক্রিনোলজিস্টের কাছে গিয়েছিলাম আমি। তখন মহিলাদের শৌচালয় থেকে আমাকে টেনে বার করে দেওয়া হয়েছিল। আমাকে দেখতে নাকি ঠিক মহিলাদের মতো লাগছিল না।”
ত্রিনেত্রর দাবি, মহিলাদের শৌচালয় থেকে বার করে আনলেও তাঁকে পুরুষদের শৌচলয়ও ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছিল না। তিনি বলেন, “মহিলাদের শৌচালয়ে শৌচকর্ম শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে আমাকে নিরাপত্তারক্ষী এসে টেনে বার করে দিয়েছিলেন। মহিলা নিরাপত্তারক্ষী আমাকে সেই দিন পুরুষ ভেবেছিলেন। আমি কিছুই বলতে পারিনি সেই দিন। চাইনি কোনও জটিলতা তৈরি হোক। আমি তাই কিছু না বলেই সেখান থেকে বেরিয়ে যাই। খুবই বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা ছিল।” এই আতঙ্কের জন্য শৌচকর্ম করতেও অস্বস্তি শুরু হয়েছিল রূপান্তরকামী অভিনেত্রীর।
এই একই কারণে কলেজে পড়ার সময় কম পরিমাণ জল পান করতেন ত্রিনেত্র। কারণ জল বেশি পান করলেই তাঁকে শৌচালয়ে বেশি যেতে হবে। শৌচালয়ে গেলেই নানা রকমের হেনস্থার মুখে পড়তে হত রূপান্তরকামী অভিনেত্রীকে। এর জেরে মূত্রনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ত্রিনেত্রর কথায়, “আমরা এমনই একটি সমাজে বাস করি। যেখানে স্বাভাবিক শৌচকর্ম করতেও ভয় হয়।”