চিত্রা কিশোর ওয়াঘের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য উরফি জাভেদকে ডেকে পাঠাল মুম্বই পুলিশ। ফাইল চিত্র।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল উরফি জাভেদকে। মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী চিত্রা কিশোর ওয়াঘ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উরফি। কমিশনের চেয়ারপার্সন রুপোলি চাকণকরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর উরফির দাবি, চিত্রার মন্তব্যে তাঁর উপর হামলায় উস্কানি রয়েছে। তার পরই উরফিকে ডেকে পাঠাল মুম্বই পুলিশ। সে নিয়ে ফের জলঘোলা।
শুরুটা অবশ্য হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিজেপির মহিলা মোর্চা সভাপতি চিত্রার অভিযোগেই। প্রকাশ্য রাস্তায় অশালীন আচরণ করছেন উরফি, নগ্নতার প্রচার চলছে বলে দীর্ঘ পত্রে দাবি জানিয়েছিলেন নেত্রী। এমনকি, তাঁর গ্রেফতারির দাবিও করেছেন। তার পরই ‘যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
সম্প্রতি একটি পিঠখোলা পোশাকে খোদ চিত্রাকে ট্যাগ করে ‘আই লভ ইউ’ লিখে বসেন তিনি। জানান, চিত্রার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তার পরের দিনই আবার লেখেন, চিত্রার পুত্রবধূ হবেন। এই করতে করতে শুক্রবার একেবারে অগ্নিমূর্তি উরফির। তাঁর আইনজীবী নিতিন সাতপুতের দাবি, ‘‘চিত্রা ওয়াঘের বিরুদ্ধে উরফি জাভেদকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের এক সদস্য যখন এই হুমকি দিচ্ছেন, তার অর্থ, এতে সরকারের সমর্থন রয়েছে। এ ধরনের মন্তব্যে উরফির ক্ষতি হতে পারে। উরফিকে নিয়ে যাতে এ ধরনের মন্তব্য না করেন, সে জন্য ওয়াঘের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হব।’’
ইতিমধ্যে নিত্যনতুন পোশাক পরে ছবি দেওয়ার পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে ক্ষুরধার বক্তব্য পোস্ট করেছিলেন উরফি। পাল্টা আক্রমণ করে চিত্রার ছবি পোস্ট করে উরফি লেখেন, “এই মহিলার স্বামীই ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। তখন স্বামীকে বাঁচাতে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। আগে এনসিপিতে থাকাকালীন সঞ্জয় রাঠৌরের বিরুদ্ধে স্বর তুলেছিলেন। সেই সঞ্জয়ের সঙ্গেই এখন গলায় গলায় ভাব চিত্রার।” এই লড়াই কোথায় গিয়ে শেষ হয়, সেটিই দেখার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy