সবুজ উপত্যকার বুক চিরে নেমে আসছে কাদাস্রোত। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে নিমেষে জল তলায় মিলিয়ে যাচ্ছে আশপাশের ঘরবাড়ি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, উঁচু পাহাড় থেকে নীচে থাকা গ্রামে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ছে নদীর জল (যদিও এগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তার পর সব তার পর ভেসে যাচ্ছে সব কিছু। ক্ষীরগঙ্গা নদীর উচ্চ অববাহিকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। তার পরেই উঁচু থেকে দু’কূল ছাপিয়ে গ্রামের দিকে নামতে শুরু করে ফুঁসতে থাকা ওই নদী। এর সঙ্গে মেঘভাঙা বৃষ্টি, যার জেরে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয় উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রামে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারী বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলের তলায়। চারধামের অন্যতম গঙ্গোত্রীর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ধরালী গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টির কিছুক্ষণ পরেই নিকটবর্তী সুখী টপে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। উত্তরাখাণ্ডের বাসিন্দা অভিনেত্রী উর্বশী রৌতেলা। এই ঘটনার জেরে খোঁজ পড়ে তাঁর। অবশেষে নিজে কেমন আছেন জানালেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:
এ দিন দুপুরের ঘটনা দেখে একেবারে থম মেরে গিয়েছেন। তবে উর্বশী জানিয়েছেন, ধরালী গ্রামের লোকেরা একা নেই, তাঁদের সঙ্গে উর্বশী রয়েছেন। তিনি তাঁদের হয়ে কথা বলবেন। যতদূর পর্যন্ত যতটা সম্ভব ত্রাণের ব্যবস্থা করবেন। উর্বশীর কথায়, ‘‘হরিদ্বারের মেয়ে আমি। তাই উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি নিঃশ্বাস প্রতিটি মানুষের মধ্যে নিজের আত্মার খোঁজ পাই। উত্তরকাশীতে যা ঘটল সেটা দেখার পর নিজের অন্তরের বেদনা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’’ এই ঘটনার পরে সারা বিশ্বে তাঁর অনুরাগীদের অনুরোধ করেছেন উত্তরাখণ্ডকে সাহায্য করার। হাত হাত রেখে কাজ করবেন সকলের সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন উর্বশী।