পাঁচ বছর পরে অনুপম খের এবং নাসিরুদ্দিন শাহের দূরত্ব ঘুচল? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেমনই আভাস দিয়েছেন অনুপম। অভিনেতা জানিয়েছেন, নাসিরুদ্দিন তাঁর কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, “দুঃখিত বন্ধু।” তাঁরা দু’জনেই সমসাময়িক অভিনেতা। কিন্তু ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ তাঁদের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি করে। ২০২০ সালে কী হয়েছিল?
সে সময়ে দেশ জুড়ে চলছিল নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বিজেপি-ঘনিষ্ঠ অনুপম স্বাভাবিক ভাবে সিএএ-এর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছিলেন। এমনকি, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দীপিকা পাড়ুকোনের দেখা করা প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তুলেছিলেন। সে সময় অনুপম প্রসঙ্গে নাসিরুদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, “ওকে সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার নেই। ও একটা জোকার। ওর এফটিআইআই বা এনএসডি-র সহপাঠীদের জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে, তোষামোদ করা ওর কাছে নতুন নয়। এটা ওর রক্তেই রয়েছে।”
পাল্টা দিতে ছাড়েননি অনুপমও। সে সময় প্রবীণ অভিনেতা এক্স-হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “নাসির সাব, আপনাকে ভাল-মন্দ আমি কখনও বলিনি। তবে আপনি আমার অনেক প্রশংসা করেছেন। দিলীপকুমার, অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খন্না, শাহরুখ খান, বিরাট কোহালির মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আপনি তির্যক মন্তব্য করেছেন। তাঁরা কেউ আপনার কথাকে সিরিয়াসলি নেননি। আমিও নিচ্ছি না। আসলে দীর্ঘ দিন ধরে আপনি যে ধরনের নেশা করেন, তাতে ঠিক-ভুল বোঝার ক্ষমতা হারিয়েছেন। আর আমার রক্তে কী আছে, জানেন তো? হিন্দুস্তান। ধন্যবাদ।” এই ঘটনার পরে পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। মানুষ করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ফেলেছে।
প্রায় পাঁচ বছর পরে একটি অনুষ্ঠানে নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয় অনুপমের। অভিনেতা সেখানে বলেন, “আমি খুবই সম্মান করি নাসিরুদ্দিনকে। কিন্তু ও মাঝে মাঝে ভুলভাল মন্তব্য করে ফেলে।” সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, পরিচালক এইচডি পাঠকের স্মরণসভায় তাঁর কাছে ওই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন নাসিরুদ্দিন। অভিনেতার কথায় বোঝা গিয়েছে, পাঁচ বছর পরে অবশেষে মিটেছে তাঁদের ভুল বোঝাবুঝি।