কাশ্মীরে শুটিং করতে গিয়ে বোমাতঙ্কের মুখে পড়েছিলেন পরীক্ষিৎ সাহনী। ‘গুল গুলশন গুলফাম’ ধারাবাহিকের শুটিং করতে গিয়েছিলেন তিনি। ধারাবাহিকের সমস্ত কলাকুশলী বিপদে পড়েছিলেন। আশির দশকের শেষের দিকে সেই শুটিংয়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
‘জেকেএনএফ’ নামে একটি সংগঠন সেই সময় ধারাবাহিকটির প্রযোজনা সংস্থাকে অবিলম্বে শ্রীনগর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিল। পরীক্ষিৎ বলেছেন, “আমার স্পষ্ট মনে আছে, সেই সময়ে জেকেএনএফ নামে একটি সংগঠন খুব সক্রিয় হয়েছিল ওখানে। আমরা শুটিং করতে গিয়েছিলাম। তখন শ্রীনগরের লেকের ধারে ও রাস্তায় বিস্ফোরণ হচ্ছিল। আমাদের বলা হয়েছিল, ‘দ্রুত চলে যান। না হলে আপনাদের মেরে ফেলা হবে।’ সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শ্রীনগর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল। পরে শ্রীনগরের আদলে সেট বানিয়ে আমাদের শুটিং করতে হয়েছিল।”
অতীত হাতড়ে সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা জানান বর্ষীয়ান অভিনেতা। তিনি আরও বলেন, “দৃশ্যের বাকি শুটিং ফিল্ম সিটিতে হয়েছিল। কিন্তু সেই শুটিং খুব ভাল করেই করা হয়েছিল। দর্শক কোনও পার্থক্য খুঁজে পাননি।” কাশ্মীরের আদলে শিকারাও তৈরি করা হয়েছিল বলে জানান অভিনেতা। শুটিং ভাল ভাবে হয়ে গেলেও, সেই বোমাতঙ্ক তাঁকে বহু দিন তাড়া করে বেড়িয়েছিল।
একসময় কাশ্মীরে দীর্ঘ দিন ছিলেন পরীক্ষিৎ সাহনী। কাশ্মীরের রাস্তাঘাটও তাঁর চেনা ছিল। অভিনেতা বলেছেন, “আমি কাশ্মীরকে খুব ভাল ভাবে চিনি। আমাকে আলাদা করে অভিনয় করতে হয়নি। ওখানে হাউজ়বোট, পাড়া অলিগলি আমার চেনা। তাই এই চরিত্রের জন্য আমাকে বিশেষ খাটতে হয়নি। সংলাপগুলিও ছিল উর্দুতে। সেই ভাষাতেও আমার যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, ‘৩ ইডিয়ট্স’, ‘সুলতান’, ‘লগে রহো মুন্না ভাই’, ‘পিকে’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন পরীক্ষিত সাহনী।