Advertisement
০৪ মে ২০২৪
choreographer

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত কোরিয়োগ্রাফার সরোজ খান

রাত দু’টো নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে সরোজের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সরোজ খান। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সরোজ খান। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ০৭:৪৬
Share: Save:

প্রয়াত হলেন বলিউডের বিখ্যাত কোরিয়োগ্রাফার সরোজ খান। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় তাঁর। বুধবার রাত থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত দু’টো নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মেয়ে এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। মৃত্যুকালে সরোজের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

২০ জুন শ্বাসকষ্টের সংস্যা নিয়ে বান্দ্রার গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সরোজ। অন্যান্য লক্ষণ না থাকলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় তাঁর কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। সেই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। মূলত ঠান্ডা লাগার জন্যই তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ২৪ জুন পরিবারের তরফে জানানো হয়, পর্যবেক্ষণে থাকলেও তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়ছে। পরিস্থিতির অবনতি না হলে আগামী দু’তিন মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও তখন জানানো হয়।

কিন্তু হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না সরোজের। হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিদায় নিলেন তিনি। প্রায় চার দশক ধরে বলিউডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। দু’হাজারেও বেশি গানে কোরিয়োগ্রাফি করেছেন। ১৯৭৪-এ ‘গীতা মেরা নাম’ ছবিতে কোরিয়োগ্রাফির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তাঁর। তিন বার জাতীয় পুরস্কার জয়ী সরোজ এর পর কাজ করেছেন একের পর এক ছবিতে। ২০১৯-এ ‘কলঙ্ক’ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের গানে শেষ বারের মতো কোরিওগ্রাফি করেছিলেন তিনি।

সরোজের মৃত্যুর খবরে শোকাহত বলিউড। মাধুরী দীক্ষিত, অহনা কুমরা, বিবেক অগ্নিহোত্রী, নিমরত কৌররা ইতিমধ্যেই টুইট করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। সরোজের অনন্য সৃষ্টিগুলিকে পোস্ট করেও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE