পল্লবীর রান্নাঘর থেকে: বাঁ দিকে গন্ধরাজ ঢ্যাঁড়শ মাছ এবং ডান দিকে গাজরের কেক। নিজস্ব চিত্র।
বাবা-মা কে হারিয়েছি সেই কোন ছোটবেলায়। ছোটবেলা থেকে নিজের রান্না নিজে করাই আমার অভ্যেস। বাড়িতে সদস্য বলতে আমি একাই। লকডাউন বলে নয়, অন্য সময়েও নিজের কাজ নিজেই করি আমি।
মাঝে মাঝে শুটিং ইউনিটের বন্ধুদের জন্য রান্না করে নিয়ে যাই। লকডাউনের এই অবসরে, আমিও সবার মতোই রান্না, ওয়েব সিরিজ, ফিল্ম- এসব নিয়েই আছি। তবে আমার ঘরেও বিশেষ কিছু মজুত করা নেই। আমাকেও সবার মতো খাবার রেশন করতে হচ্ছে। চিন্তা হচ্ছে ভবিষ্যতের জন্যও। শুটিং কবে শুরু হবে, এখনও কোন নিশ্চয়তা নেই। যাই হোক, দুটো রেসিপি আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। লকডাউনের ঠিক পরেই এগুলো বানিয়েছিলাম। তেমন কিছু তরিবৎ করতে হবে না। ভাল লাগলে আপনিও রান্না করতে পারেন।
আরও পড়ুন- লকডাউনে ডালগোনা কফি ট্রাই করলাম, একদম ডিজাস্টার: সৌরসেনী
গন্ধরাজ ঢ্যাঁড়শ মাছ
প্রথমে নুন-হলুদ মাখিয়ে মাছ ভেজে নিলাম। ছোট ছোট সাইজের গোটা গোটা ঢ্যাঁড়শ ছাঁকা তেলে কড়কড়ে করে ভেজে আলাদা করে রেখে দিলাম। পেঁপে, গাজর, ঝিঙে, আলু, পটল টুকরো কেটে রাখা ছিল আগেই। এর পর গরম তেলে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে টুকরো করা সবজিগুলো কড়াইয়ে ছেড়ে দিলাম। একটু ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে আদা বাটা, জিরে বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, স্বাদ মতো নুন, একটা টম্যাটো কুচি দিয়ে কষিয়ে নিলাম। কষে গিয়ে তেল বেরিয়ে এলে জল দিয়ে ফুটিয়ে নিলাম। সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে ভাজা মাছগুলো ছেড়ে দিলাম। খানিকটা ফোটার পর ভাজা ভেন্ডি এবং গন্ধরাজ লেবুর পাতা দিয়ে নামিয়ে নিলাম। তৈরি আমার গন্ধরাজ ঢ্যাঁড়শ মাছ।
আরও পড়ুন- করোনা আতঙ্কের মাঝেই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সুইৎজারল্যান্ডে মোনালি কী করছেন?
গাজর কেক
পাঁচ কাপ ময়দা, তিন কাপ চিনি, এক টেবিল চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, পাঁচটা ডিম, আধ চামচ বেকিং সোডা, পাঁচশ গ্রাম মাখন। এই সব কিছু ভাল করে মিশিয়ে নিলাম। তারপর চার/ পাঁচটা গ্রেট করা গাজর মিশ্রণের মধ্যে ঢেলে দিয়ে আবার ভাল করে মিশিয়ে নিলাম। কেকের পাত্রে সাদা তেল মাখিয়ে মিশ্রণটা ঢেলে দিলাম। এবার বেক করে নিলাম। রেডি গাজর কেক।
তা হলে আপনারা কবে বানাচ্ছেন এই পদ দু'টি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy