Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘লুক টেস্টে মশারির মতো শাড়ি পরতে দেওয়া হয়েছিল’

তাঁকে মেজাজি বলেই জানে ইন্ডাস্ট্রি। নিজেই বলেন, ‘আমি একটু কুঁড়ে’। কী করছেন এখন শ্রীলেখা মিত্র?তাঁকে মেজাজি বলেই জানে ইন্ডাস্ট্রি। নিজেই বলেন, ‘আমি একটু কুঁড়ে’। কী করছেন এখন শ্রীলেখা মিত্র?

শ্রীলেখা মিত্র।

শ্রীলেখা মিত্র।

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০০:১৮
Share: Save:

প্র: অনেক দিন পর একটা ছবি করছেন... চরিত্রটা পছন্দ হল কেন?

উ: ‘রেনবো জেলি’র পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের উপর আমার ভরসা আছে। ও যখন একটা চরিত্র আমাকে দিচ্ছে, সেটা ভাল হবেই। এর আগে ওর ‘পেন্ডুলাম’-এও কাজ করেছি আমি। এই ছবিতে পরি পিসির চরিত্রটা করছি। এমন একটা চরিত্র, যাকে ছোটবেলায় সবাই খোঁজে। ফেয়ারি গডমাদার ধরনের। আর আমার মধ্যে এমনিই একটা পরি পিসি-পরি পিসি ভাব রয়েছে!

প্র: বড় ব্যানারের ছবিতে আপনাকে দেখা যাচ্ছে না বহু দিন হল।

উ: আমার কাছে বড় ব্যানার বা ছোট ব্যানার ম্যাটার করে না। পুরো ছবিটা ভাল কি না, সেটা আমার কাছে ম্যাটার করে। শুধু আমার চরিত্রটা নয়। তাই পোস্টারে কত বড় করে আমার মুখ গেল, ছবির বাজেটের কতটা আমার জন্য রাখা হল— এগুলো নিয়ে আমি ভাবি না। আমি ব্যবসায়ী হতে পারিনি।

প্র: ছবি তো এক অর্থে ব্যবসাই...

উ: আমি শুধু ভাল কাজটা করতে চাই। আর কিছু না... (একটু থেমে) কখনও কখনও যে অবসাদ-হতাশা আসে না, তা নয়। আমার বাবাই বলেন, ‘একটু যদি ডিপ্লোম্যাটিক হতিস!’ দুমদাম লোকের মুখের উপর কথা বলে দিই বলেই হয়তো লোকে আমাকে ঘাঁটাতে সাহস পায় না। তবে আমার দ্বারা কারও ক্ষতি হয়নি কোনও দিন। আমার একটু নাকউঁচুপনা আছে। কিন্তু দেখতে ভাল বলে বাই ডিফল্ট আমাকে ন্যাকা হতে হবে, গায়ে পড়া হতে হবে বা কাঁদুনি গাইতে হবে— এটা আমি মনে করি না।

প্র: কিন্তু বড় প্রযোজনা সংস্থায় কাজ না করলে পিছিয়ে পড়ার ভয় থাকে না?

উ: ২০০৯ সালে ‘বন্ধন’ ধারাবাহিকটার জন্য এক বার গঙ্গায় ডুব দিতে হয়েছিল। তখন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এই পরিশ্রমটা যেন আমাকে আর না করতে হয়। আমি খুব সুখী মানুষ! ছেড়েও দিয়েছিলাম ধারাবাহিকটার কাজ। তাতে আমার মার্কেট অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অথচ আমার কিন্তু ভাল লাগত টেলিভিশনের কাজ করতে। তখন তো ধারাবাহিকগুলোর মান অনেক উন্নতও ছিল। সে অর্থে আমি ছবির কাজ কম করেছি, টেলিভিশন বেশি করেছি। টাকাপয়সাও খুব একটা করতে পারিনি (হাসি)!

প্র: নিজের সব সিদ্ধান্তে আপনি খুশি?

উ: একদম। গুড, ব্যাড, আগলি যা-ই হোক না কেন, ওগুলো আমার ডিসিশন। মুম্বইয়ে আমির খানের সঙ্গে একটা পানীয়ের বিজ্ঞাপনের পর প্রদীপ সরকার আমাকে পরের পর কাজ দিয়েছিলেন। ওঁর সঙ্গে একটা ছবিও করার কথা ছিল আমার। কিন্তু তখন আমি বিয়ের স্বপ্ন দেখছি। ভাবছি, কে অত কষ্ট করে মুম্বইয়ে গিয়ে থাকবে! কোনও সিদ্ধান্তের জন্যই আক্ষেপ নেই কিন্তু। তখনকার জন্য যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি, সেটা ঠিক মনে হয়েছে বলেই নিয়েছি।

প্র: ‘দুপুর ঠাকুরপো’র নির্মাতারা বলছেন, আপনি ওজন কমাননি বলে তাঁরা আপনাকে বাদ দিয়েছেন। আপনি বলেছিলেন, কুরুচিপূর্ণ কনটেন্টের কারণে আপনিই কাজটা করেননি। কোনটা সত্যি?

উ: আমি তো এই প্রথম বার আপনার কাছ থেকে শুনছি যে, ওজনের জন্য আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে! ইন্ডাস্ট্রিতে তো সকলেই জানে, আমি মোটাসোটা। সেই হোমওয়র্কটা করে নিয়ে ওদের আসা উচিত ছিল! আমাকে লুকটেস্টে যে শাড়িটা পরতে দেওয়া হয়েছিল, সেটা একেবারে মশারির মতো! এ রকম স্লিজ় শো আমি কেন করব? আর ওদের বাঙালি বউদি চাই, না কি ভোজপুরি বউদি চাই— সে ব্যাপারেও একটু পরিষ্কার থাকা উচিত ছিল।

প্র: আপনি নাকি ‘দুপুর ঠাকুরপো’র স্পুফ বানাতে চলেছেন?

উ: কথা এগোচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনই খোলাখুলি কিছু বলতে পারব না।

অন্তরা মজুমদার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE