অনুপম খের এবং মহেশ ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যক্তিগত জীবনের নানা ভুলভ্রান্তি নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলতে কখনও কুণ্ঠিত হননি পরিচালক মহেশ ভট্ট। অনুপম খেরের সঙ্গে কয়েক বছর আগে কথোপকথনে নিজের জীবনের এমনই এক অধ্যায় তুলে ধরেছিলেন তিনি, কী ভাবে সেই আঁধার কেটেছিল, খোলসা করেছিলেন তা-ও।
যৌবনে বাড়াবাড়ি রকমের মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন মহেশ। সব সময় রেগে থাকতেন, কিছুতেই সন্তুষ্টি আসত না, অধৈর্য হয়ে পড়তেন। হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলেন ক্রমশ, পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল মদ্যপানের মাত্রাও। সেই সময় রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকত না মহেশের।
প্রায়ই নাকি এত মদ্যপান করেতেন যে, একা বাড়ি ফেরার ক্ষমতা থাকত না, অনুপম তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যেতেন। মহেশ বলেন, “কেউ যদি নিজের প্রতি অসন্তুষ্ট থাকে, দুনিয়ার কারও প্রতি সে খুশি থাকতে পারে না। নিজের প্রতি বিরক্ত লাগত আমার, অধৈর্য হয়ে পড়তাম।”
কিন্তু মহেশের দাবি, ছবির পরিচালক কখনও সত্যিটা লুকিয়ে রাখতে পারেন না। পর্দায় ঠিক ধরা পড়ে যায়। কী ভাবে এই যন্ত্রণাময় সময় পেরিয়ে আসেন মহেশ?
একটি বিশেষ দিনের কথা জানান মহেশ, যে দিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর মদ ছোঁবেন না। তিনি বলেন, “তখন আমার মেয়ে শাহিন হয়েছে সদ্য। ওর জন্মের পর ক’দিন টানা মদ্যপান করছিলাম। যখন ও বাড়ি এল, আমি ওকে দু’হাতে তুলে আদর করতে গিয়েছিলাম। আমি দেখলাম, ও মুখ ঘুরিয়ে নিল আমার থেকে। স্পষ্ট বুঝলাম, ও চাইছে না আমার সঙ্গ, প্রত্যাখ্যান করছে আমায়।”
জ্যেষ্ঠ কন্যা শাহিনকে কাছে পেতে সেই দিন থেকেই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মহেশ, আর কোনও দিন নেশা করবেন না। পরিচালক জানালেন, ২৬ বছর আগে মদ খাওয়া ছেড়েছেন। আর কখনও স্পর্শ করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy