৪ সেপ্টেম্বর, ঋষি কপূরের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। প্রতি বার জন্মদিনটা কি প্রিয় সুরার গ্লাস হাতেই কাটাতেন ঋষি? কৌতূহল অনুরাগীদের। শোনা যায়, তারকার সঙ্গে সুরার বেশ ‘সুসম্পর্ক’ই ছিল! মদ্যপানের পরে অভিনেতার নানা মজার কাহিনি এখনও শোনা যায় বলিউডের অন্দরে কান পাতলেই। নিজের স্মৃতিকথা ‘খুল্লম খুল্লা: ঋষি কপূর আনসেন্সর্ড’-এর মতোই সুরার প্রতি তাঁর আসক্তি নিয়েও খোলামেলাই আলোচনা করেছেন তিনি, বিভিন্ন সময়ে।
এক সাক্ষাৎকারে ঋষি বলেছিলেন, তিনি মদ্যপানটা উপভোগ করতেন। তবে মদ্যপানের সময় যে সব বিপত্তি তিনি ঘটাতেন, সে সম্পর্কেও তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। অভিনেতা বলেছিলেন, “আমি মদ্যপান উপভোগ করি। কিন্তু, কখনও কখনও সেটা সমস্যায় পরিণত হয়ে যেতে পারে। আমি খাবার পছন্দ করি। এবং আমার পছন্দের খাবার বাড়িতে পাই না। তাই বাইরে খেতে হয়।”
এক বার নাকি মদ্যপ অবস্থায় নীতু কপূরকে দিয়ে, নিজের প্রাক্তন প্রেমিকাকে ফোন করিয়েছিলেন ঋষি! আত্মজীবনীতে সেই ঘটনা বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন তিনি। ইয়াসমিন নামে এক মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু, ঋষি তারকা হয়ে ওঠার পর সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। ‘বদলে যাওয়া’ ঋষি নিজের ভালবাসাকে ধরে রাখতে পারেননি, বিচ্ছেদ ঘটে। এর পরেই নীতু কপূরের সঙ্গে ‘জ়হরিলা ইনসান’ ছবির শুটিং করতে আউটডোরে যান তিনি। বইয়ে অভিনেতা উল্লেখ করেন, বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট দুঃখে ছিলেন তিনি। লেখেন, “ওখানে গিয়ে আমি প্রচণ্ড মদ খেতাম আর আমার সহ-অভিনেত্রী নীতু সিংহকে (যাঁকে পরে আমি বিয়ে করি) দিয়ে ইয়াসমিনকে ফোন করাতাম। আমার সঙ্গে ইয়াসমিনকে কথা বলার জন্য রাজি করানোই উদ্দেশ্য ছিল।”
আরও পড়ুন:
ঋষি লেখেন, এর পরেও বারকয়েক নানা জায়গায় ইয়াসমিনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। কিন্তু, তত দিনে বিচ্ছেদের ধাক্কা সামলে উঠেছেন তিনি। পরবর্তীকালে ঋষিরই এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ইয়াসমিন। “নীতু ওঁর সঙ্গে সব সময় খুব ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ওঁর (ইয়াসমিন) আকস্মিক মৃত্যুতে আমি খুব দুঃখ পেয়েছিলাম,” বইয়ে লেখেন অভিনেতা।