Advertisement
E-Paper

পথদুর্ঘটনায় বোনের মৃত্যুর তিন বছরের মাথায় প্রয়াত দাদা, জ়ুবিনের সঙ্গীতজগতে পথচলা শুরু কী ভাবে?

১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরা অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। অসমিয়া, বাংলা ও বলিউডের জন্য অজস্র গান গেয়েছেন জ়ুবিন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১৭
জ়ুবিন গার্গ। ছবি: সংগৃহীত।

জ়ুবিন গার্গ। ছবি: সংগৃহীত।

বিনোদনদুনিয়ায় শোকের ছায়া। শুক্রবার দুপুরে দুঃসংবাদ। সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু জনপ্রিয় গায়ক জ়ুবিন গার্গের। ২০০৬ সালের ‘ইয়া আলি’ গান তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছিল। প্রায় দুই দশক পরে, আজও সেই গান সমান জনপ্রিয়। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে জ়ুবিনের এই মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছে না অনুরাগীরা।

১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরা অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। অসমিয়া আর বাংলা ছাড়া বলিউডের জন্যও অনেক গান গেয়েছেন জ়ুবিন। শিল্পীর বাবা মোহিনী বরঠাকুর পেশায় ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। সেই সঙ্গে ‘কপিল ঠাকুর’ ছদ্মনামে গান ও কবিতা লিখতেন তিনি। জ়ুবিনের মা ইলি বরঠাকুর ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী।

তামুলপুর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণি পাস করেন জ়ুবিন। এর পর বি. বরুয়া কলেজে বি.এসসি নিয়ে ভর্তি হন। তবে গানে মন দিতে পড়াশোনা ছাড়েন। ২০২৪ সালে মেঘালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে সাম্মানিক ডক্টর অফ লিটারেচার (ডি. লিট) ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

গায়কের বোন জংকী বরঠাকুরেরও মৃত্যু হয়েছিল দুর্ঘটনায়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অভিনেত্রী-গায়িকা জংকীর। তিনিও অনুষ্ঠান করতেই যাচ্ছিলেন তখন। দাদা জ়ুবিনও অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে।

২০০২ সালেই অসমের এক পোশাকশিল্পী গরিমা শইকীয়াকে বিয়ে করেন জ়ুবিন। সূত্রের খবর, বহু বছর ধরে অসমের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত গায়ক ছিলেন জ়ুবিন। ১৯৯৫ সালে মুম্বই পাড়ি দেন। বলিউডে কর্মজীবন তৈরি করাই ছিল লক্ষ্য। সেখানেই প্রথম নিজের ইন্ডিপপ অ্যালবাম বার করেন জ়ুবিন, নাম ‘চাঁদনি রাত’। একের পর এক কাজ করতে থাকেন তিনি, আসতে থাকে সাফল্য।

অসমের ডিগবয় শহরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি হয়। ২০২২ সালে নিজেই সেই মূর্তি উন্মোচন করেন গায়ক। ওই বছরই ডিব্রুগড়ের এক রিসর্টে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন জ়ুবিন। স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করানোর পর সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে গুয়াহাটির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেই বিপদ কাটিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু, তিন বছরের মাথায় মিলল দুঃসংবাদ।

Zubeen Garg
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy