(বাঁ দিক থেকে) পরীমণি এবং তসলিমা নাসরিন। ছবি: সংগৃহীত।
বিতর্কে পরীমণি। নায়িকার স্বামী শরিফুল রাজের ফেসবুক থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা এবং নাজিফা তুষি— এই তিন নায়িকার গোপন ভিডিয়ো ও ছবি। এই ঘটনার পর পরীমণির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুনেরাহ। একে অপরকে দোষারোপের পালা জারি। গত ১০ দিন ধরে নাকি রাজের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই পরীর। এমনটাই দাবি জানিয়েছেন নায়িকা। তার পর রাজের বিবৃতিতেও খানিকটা ইঙ্গিত ছিল পরীমণির দিকেই।
তসলিমার ফেসবুক পোস্ট। ছবি: ফেসবুক।
সবাই যখন পরোক্ষ ভাবে অভিনেত্রীর দিকে প্রশ্ন তুলছেন, ঠিক সে সময় পোস্ট এল লেখিকা তসলিমা নাসরিনের তরফে। পরীমণির এই ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশের সিনেমার নায়িকা পরীমণিকে আমি সরল এবং বুদ্ধিমতী বলে মনে করি।” নায়িকাকে মানুষ হিসাবে অনেক বেশি নম্বর দিচ্ছেন লেখিকা। পরীমণি বরাবরই সব কথা স্পষ্ট করে বলতে ভালবাসেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হোক কিংবা আনন্দের মুহূর্ত— সব কিছুই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি। রাখঢাক না করে তাঁর এই চাঁছাছোলা কথা বলার স্বভাব ভাল লেগেছিল লেখিকার। তিনি ভেবেছিলেন ভিড়ের মধ্যে একটু হলেও আলাদা এই নায়িকা।
কিন্তু তাঁর এই ধারণা যে ভুল, সেটা ভেবেই হতাশ হলেন লেখিকা। তসলিমা লেখেন, “পরীমণি বলেছেন রাজকে তাঁর জীবন থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার দায় সম্পূর্ণই সুনেহরার। তিনি সুনেরাহকে ভৎসর্না করলেন। আমি অবাক হলাম, রাজ যদি তাঁর স্ত্রীকে ঠকিয়ে থাকেন, স্ত্রীকে চিট করে অন্য কারও সঙ্গে জীবনযাপন করেন, তা হলে দোষ রাজের না হয়ে অন্যের হবে কেন? পরীমণি রাজকে দোষ দিলেন না। তিনি দোষ দিলেন সুনেরাহকে, মেয়েটিকে। অধিকাংশ মেয়েই পুরুষের দোষ দেখতে পান না। সমস্ত অঘটনের মূলে তাঁরা মনে করেন, আছে মেয়েরাই। পরীমণিও তা-ই করলেন। ভিড়ে মিশে গেলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy