প্রতিদিনই যখন মেসেজিং অ্যাপে বয়ে চলে হাজারো কথোপকথন, তখন শব্দের রূপও ধীরে ধীরে বদলে যায়। এক সময় ‘তুমি কেমন আছো?’ বলার জন্য কলম ধরতে হত। এখন শুধু টাইপ করলেই হয় — tumi kemon acho?
ইংরেজি হরফে লেখা বাংলা, যাকে রোমান বাংলা বলা হয়, যা এখন আমাদের কথোপকথনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বিশেষত মুঠোফোনে মেসেজ পাঠানোর সময় আমরা আর বাংলা টাইপিংয়ের ঝক্কি নিই না। তাতে ভাষার একটা নতুন রূপ গড়ে উঠেছে— বানান বদলেছে, উচ্চারণের ধরন বদলেছে, এমনকি এক-একটা শব্দের মানেও বদলে যেতে বসেছে।
আমরা হয়তো ভাবি— এতে ক্ষতি কী? ভাষা তো বহমান, বদলাবেই। ঠিকই। কিন্তু প্রশ্নটা হল— এই পরিবর্তনটা আমাদের ভাষাচর্চাকে কোথাও দুর্বল করে দিচ্ছে না তো? ছোটরা যদি শুধু bhalo, jabo, dekha hobe টাইপ করতেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠে, তবে তারা কি আদৌ জানবে শব্দগুলির বাংলা বানান কেমন হওয়া উচিত?
তবে এই পরিবর্তনের মধ্যে একটা আশার দিকও আছে। যাঁরা আগে বাংলা লিখতেই চাইতেন না, তাঁরা আজ অন্তত রোমান হরফে হলেও বাংলা বলছেন, লিখছেন। সেটা অনেক সময় নতুন প্রজন্মের মধ্যে মাতৃভাষার টান তৈরি করতেও সাহায্য করছে। এই টানটাই যদি সঠিক রূপে গড়ে তোলা যায়, তা হলে ভাষার প্রতি ভালবাসা হয়তো ধীরে ধীরে জন্মাবে।
বাংলা বানানকে মজার ছলে ভালবাসতে শেখানোর লক্ষ্যেই প্রতি বছর আনন্দবাজার ডট কম আয়োজন করে ‘শব্দ জব্দ’ প্রতিযোগিতার। এই প্রতিযোগিতা শুধু বাংলা শব্দের খেলা বা নিছকই কোনও লড়াই নয়। এই প্রতিযোগিতা ভাষার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার এক অভিনব প্রয়াস।
এই বছরের শব্দ-জব্দ পৌঁছেছে রাজ্যের ১৫টি জেলায়, ২৫০টির বেশি স্কুলে এবং ৬০,০০০ পড়ুয়ার কাছে।
এই উদ্যোগে আমাদের সঙ্গে আছে—
প্রেজ়েন্টিং পার্টনার: ইআইআইএলএম, কলকাতা
পাওয়ার্ড বাই পার্টনারস: ট্রেন্ডস ও সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি
স্ন্যাকস পার্টনার: কিকু
ফুড পার্টনার: মনজিনিস
নলেজ পার্টনার: শব্দবাজি
ভাষা তো বদলাবেই— কিন্তু শিকড় যেন না ছেড়ে।
‘শব্দ-জব্দ ২০২৫’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন: https://www.anandabazar.com/events/shobdo-jobdo