কলকাতায় ঢাকাই শাড়ি বলেই পরিচিত। বাংলাদেশে গেলে অবশ্য বলতে হবে জামদানি শাড়ি। সে যে নামেই ডাকুন না কেন, এই শাড়ি বাংলার সব কোণেই বেশ জনপ্রিয়। গরমের দিনে উৎসব-অনুষ্ঠানে একটি হালকা রঙের জামদানি পরে গেলে আর কী লাগে!
জামদানি শাড়ির মহিমা অবশ্য শুধু বাংলায় আটকে নেই। কলকাতা-ঢাকা ছাড়িয়ে তা গিয়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। বিদ্যা বালন, সোনম কপূর, রানি মুখোপাধ্যায়, কাজলের মতো বলিউডের তারকাদেরও মাঝেমধ্যেই দেখা যায় জামদানি শাড়ি পরতে। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া তো নিজের ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়ির লক্ষ্মী পুজোয় জামদানি শাড়ি পরে নজর কেড়েছিলেন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে জামদানি শাড়ি পরে আবার আলোড়ন তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরি হক।
তারকাদের সে সব সাজ রীতিমতো সাড়া ফেলেছে চার দিকে। আগের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় এখন জামদানি শাড়ি। এই নববর্ষে আপনিও কিনতে পারেন একটি হালকা রঙের জামদানি শাড়ি। কিন্তু বাজারে নানা ধরনের জামদানি শাড়ি বিক্রি হয়। আপনি যে শাড়িটি কিনছেন, সেটি আসল জামদানি কি না, তা চিনবেন কী করে?

প্রতীকী ছবি
জামদানি শাড়ি চেনার কয়েকটি সহজ উপায় রয়েছে।
আসল জামদানি শাড়ির শুরুতে সাড়ে পাঁচ হাত পর্যন্ত কোনও পা়ড় থাকে না। অর্থাৎ যে অংশটি কোমরে গোঁজা থাকে, তাতে পাড় থাকে না।
মেশিনে বোনা জামদানি শাড়ি হলে তাতে পুরোটাই পাড় থাকে। আর হাতে বোনা জামদানির চেয়ে বেশি ভারী এবং খসখসে হয় মেশিনে বোনা জামদানি। কারণ, মেশিনে তৈরি জামদানিতে নাইলনের সুতো ব্যবহার করা হয়।
আসল জামদানি শাড়ির দাম নির্ধারণ হয় সুতোর মানের নিরিখে। কিন্তু মেশিনের জামদানিতে একই ধরনের সুতো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে দাম দিয়ে শাড়ি কেনার আগে জেনে নেওয়া জরুরি, সেটি আসল না নকল।