রোজের ব্যবহারের জিনিসই শরীরের ক্ষতি করছে। ত্বক, স্বাস্থ্য, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হলে সেগুলি নিজেদের শৌচালয় থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এমন তিনটি জিনিসের নাম উল্লেখ করা হল। জেনে নিন, কেন সেগুলি ক্ষতিকারক?
পুরনো টুথব্রাশ: যত দিন সম্ভব ক্ষয়ে যাওয়া টুথব্রাশ ব্যবহার করার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। কেউ টাকা খরচ কমানোর জন্য, কেউ বা স্রেফ আলস্যের কারণে সময় মতো টুথব্রাশ বলদান না। আর সেখানেই লুকিয়ে থাকে বিপদ। দাঁত, মাড়ি, অথবা মুখগহ্বরের অন্য কোথাও প্লাক জমে থাকলে, তা সরানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায় পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে। অনেক চিকিৎসক তিন মাস অন্তর ব্রাশ পাল্টানোর পরামর্শ দেন। তিন মাস পেরিয়ে ছ’মাস হয়ে গেলেও অনেকে বদলান না। কিন্তু ‘জার্নাল অফ ডেন্টাল রিসার্চ’-এ বলা হয়েছে, তিন মাস পর্যন্তও অপেক্ষা না করতে। যে মুহূর্তে দেখতে পাবেন ব্রাশের ব্রিস্ল ছড়িয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে সেটি ফেলে দেওয়া উচিত। নয়তো সেগুলির মধ্যে বিপজ্জনক মাইক্রোব জমতে শুরু করবে।
নিজেদের শৌচালয় থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে কোন জিনিসগুলি? ছবি: সংগৃহীত।
মাউথওয়াশ: ব্রাশের পর চিকিৎসকেরা মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে বলেন, যাতে মুখের সমস্ত কোণ থেকে প্লাক অপসারণ সম্ভব হয়। কিন্তু অ্যালকোহলযুক্ত মাউথওয়াশগুলি মুখের ভিতরের উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলির ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। ডিসবায়োসিস (অণুজীবের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া) তৈরি করে। মাড়ির রোগ বা সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত বিপজ্জনক প্রজাতিগুলিকে উৎসাহিত করতে পারে। নিয়মিত ব্যবহার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকেও পরিবর্তন করে দিতে পারে। এর ফলে বিপাকক্রিয়ায় বদল আসতে পারে। পুষ্টির জোগান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর তাই দন্ত্যচিকিৎসকেরা এখন সকলকে মাউথওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন না। রোজ ব্যবহার করার কথাও বলে না তাঁরা।
আরও পড়ুন:
রেজ়র ব্লেড: মানুষের শরীরের নরম চুলও রেজ়র ব্লেডে ধার কমিয়ে দিতে পারে। তারা ফাটল ধরায় ব্লেডে। ফলে ব্লেডের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। চর্মরোগ চিকিৎসকেরা বলেন, ধার কমে যাওয়া ব্লেড ব্যবহার করলে ত্বকে আঘাত লাগতে পারে অনেক বেশি পরিমাণে। এ ছাড়াও ইন-গ্রোন হেয়ার এবং ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে হলে ৫-৭ বার ব্যবহারের পরই ব্লেড বদলে ফেলা উচিত।