পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই পালং শাক খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। ইদানীং আবার ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকপাতা হিসাবে সমাজমাধ্যমে কেল নামের এক ধরনের শাকের কথাও প্রায়ই শোনা যাচ্ছে।
কেল হল ইউরোপীয় এক ধরনের শাক। বিশ্বায়নের কল্যাণে, তা ভারতীয় সুপারমার্কেট গুলিতে খুঁজলেই পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা বলেন এই কেল ভিটামিন সি, ভিটামিন এ-র দারুণ উৎস। যা কোষের ক্ষতি মেরামত করতে, প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এমনকি, চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
তবে তার জন্য বিদেশ থেকে আনা কেল খেতে হবে না। এমনকি, ভিন মরসুমের পালং শাকও খেতে হবে না। চিরচেনা লাউশাকেই রয়েছে নানা ভিটামিনের খনি।
লাউ শাকে কী কী ভিটামিন রয়েছে?
তারকা পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দো বলছেন, লাউশাকে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (থিয়ামিন, রাইবোফ্লেভিন, নায়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যসিড)। যা চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। শরীরের বিপাকের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতেও সাহায্য করে।
লাউশাকে কী কী জরুরি খনিজ রয়েছে?
ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনেরও খুব ভাল উৎস লাউশাক। যা একাধারে শরীরের সর্বত্র রক্তে অক্সিজেন সংবহনে সাহায্য করে। আবার হাড়ের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে লাউশাক।
লাউ শাকে রয়েছে জরুরি অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও
লাউশাকে রয়েছে পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। যা শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন থেকে দূরে রাখে। স্বাস্থ্য সচেতনেরা জানবেন, শরীরের অধিকাংশ রোগের জন্য এমনকি, ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ার জন্যও এই প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস-ই দায়ী।