‘মাস্টারশেফ ইন্ডিয়া’ রিয়্যালিটি শোয়ের জনপ্রিয় প্রতিযোগী, চেন্নাইয়ের রন্ধনশিল্পী অরুণা বিজয় জাপান সফর থেকে ফিরে নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায়, সে দেশের রন্ধনশিল্পীদের থেকে জাপানি রান্নার খুঁটিনাটি শিখছেন অরুণা। জাপানের রন্ধনশৈলী দেখে মুগ্ধ অরুণা নিজের অনুরাগীদের জন্য তাই এক বিশেষ ভিডিয়ো করেছেন।
জাপান থেকে রান্নার যে সমস্ত কৌশল শিখে এসেছেন অরুণা, তার মধ্যে ৫টি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেন। রন্ধনশিল্পের এই পন্থাগুলি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন অরুণা। আর তাই নিজের হেঁশেলেও সেগুলিকে প্রয়োগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন ‘মাস্টারশেফ’-এর প্রতিযোগী।
জাপানের দাশি ব্রথ রান্না। ছবি: সংগৃহীত।
জাপান থেকে কোন ৫টি কৌশল শিখে এসেছেন অরুণা?
১. রান্নায় জাপানিরা তেল প্রায় দেন না বললেই চলে। তার বদলে জল ব্যবহার করার চল রয়েছে সে দেশে। কখনও সখনও জলের পরিবর্তেন দাশি ব্রথ ব্যবহার করেন তাঁরা। দাশি এক প্রকার স্টক বা স্যুপের মতো। এর ফলেই তাঁদের খাবারগুলি হালকা হয়।
২. ভারতীয় খাবারে পাতের এক কোণে আচারের স্থান হয়। কখনও আবার সেটুকুও থাকে না। কিন্তু সে দেশে খাওয়ার পাতে পাকাপোক্ত স্থান অধিকার করে আচার। অরুণা বলছেন, ‘‘জাপানিদের জন্য আচার খাবারের সঙ্গী নয়, খাবারেরই অংশ। অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং হজমক্রিয়া উন্নত করার জন্য এই পদ্ধতিতে খাবার খান তাঁরা।’’
৩. মশলাপাতি দিয়ে খাবারের রূপ পরিবর্তনে বিশ্বাসী নন জাপানিরা। খাবারের আসল রং ও স্বাদ স্পষ্ট ভাবে টের পাওয়া যাবে জিভে।
৪. খাবার খাওয়ার সময়ে ৮০-২০ নিয়ম পালন করেন তাঁরা। খেতে খেতে যে মুহূর্তে বুঝতে পারেন, পেট ৮০ শতাংশ ভরে গিয়েছে, তখনই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। এতে শরীর থেকে লেপটিন নিঃসরণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। লেপটিন হল সেই হরমোন, পেট ভরে গেলে যেটি মস্তিষ্কে সঙ্কেত পাঠায়। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখতে, ভুঁড়ি কমাতে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই পদ্ধতি অবলম্বন করছেন জাপানিরা।
৫. সব্জি, মাছ বা মাংসের মধ্যে যা-ই রান্না করুন না কেন, পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়ার খানিক আগে জাপানিরা আগুন নিভিয়ে দেন। ফলে অল্প হলেও কাঁচা থেকে যায় খাবারগুলি। এই পদ্ধতির নেপথ্যে জাপানিদের যুক্তি হল, এর ফলে সব্জি হালকা মুচমুচে থাকে, খেতেও ভাল লাগে। এর ফলে খাবারের ভিতরের পুষ্টি উপাদানগুলি অক্ষুণ্ণ থাকে।