নিয়ম করে জিমে যাচ্ছেন, সকালে উঠে লেবু-মধুর জল, প্রোটিনে ভরা প্রাতরাশও খাচ্ছেন। কিন্তু দিন যত গড়ায়, ততই খাই খাই ভাব চাগাড় দিয়ে ওঠে? এমন প্রবণতা থাকে অনেকেরই। আর ঠিক সেই কারণেই, মেদ গলানোর চেষ্টা-চরিত্র বিফলে যায়।
নেট প্রভাবী পুষ্টিবিদ এবং ফিটনেস প্রশিক্ষক কেসি ওয়াইজ বলছেন, ‘‘ সমস্যাটা খাবারে নয়, লুকিয়ে রয়েছে দেখলেই খাই খাই করার প্রবণতায়। তার ফলে যাঁরা কষ্ট করে ক্যালোরি কমাচ্ছেন বা যাঁরা মেপেজুপে খেয়ে শরীর সুস্থ রাখতে চান, সমস্যায় পড়েন তাঁরা।’’
খাবার জিনিস দেখলেই, সেই গন্ধে জিভে জল আসা এবং খিদে না থাকলেও খেয়ে ফেলার প্রবণতা কম-বেশি অনেকেরই থাকে। এই হয়তো ভাবছেন, এই সন্ধ্যায় আর গরম পেঁয়াজি, বেগুনির দিকে নজর নয়। কিন্তু তেলেভাজার দোকানের পাশ দিয়ে গেলেই আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এমনটা হয় বাড়িতেও। কেউ চকোলেট, কেউ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কেউ আবার পিৎজ়া— লোভনীয় জিনিস দেখলেই খেয়ে ফেলেন। তা খাওয়াই যায়, সমস্যা হয় তখন যখন পরিমাণ স্থির থাকে না।
কেসি বলছেন মজার কৌশল, যা অনুসরণ করলে তাৎক্ষণিক ভাবে খাবারের প্রতি লোভ এড়ানো যাবে। বিষয়টি হল মনকে ঘুরিয়ে দিয়ে সেই মুহূর্তে খাওয়ার ইচ্ছা এড়ানো।
আরও পড়ুন:
১। নির্দিষ্ট খাবার এড়াতে চান? তা হলে সেটি সামনে থাকলেও আঙুল দিয়ে টেবিলে টোকা দিন। ১-২-৩-৪ গুনুন। আবার উল্টে দিক থেকে শুরু করুন। বার কয়েক করলেই কিন্তু লাভ হবে। সেই মুহূর্তে নির্দিষ্ট জিনিসটি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত করতে পারবেন।
২। অনেক সময় গন্ধের বদলও কাজ করে। কোনও খাবার খেতে ইচ্ছা হওয়ার পিছনে সেই খাবারের সুবাসও থাকে। সেই মুহূর্তে অন্য কোনও সুগন্ধীর দিকে মন যায়, তা হলেও এই ইচ্ছা সাময়িক ভাবে দমন হতে পারে। এসেনশিয়াল অয়েল, সুগন্ধী মোম জ্বালাতে পারেন বা অন্য গন্ধে ঘর সুবাসিত করতে পারেন।
৩। নিজের মনেই এমন সময় পাশাপাশি কোন ৫ জিনিস দেখছেন সেটা বলতে থাকুন। একটু জোরে সেই নামগুলি উচ্চারণ করুন বার বার। এতেও মন বিক্ষিপ্ত হবে।
৪। খাওয়ার ইচ্ছা দমনে শান্ত হয়ে বসে জোরে শ্বাস নিন। তার পরে ছাড়ুন। মন শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে চলে গেলেও লাভ হতে পারে।
৫। মস্তিষ্ককে বা মনকে বোঝাতে পারেন, ঠিক আছে পরে খাওয়া যাবে। এখন নয়। এমন ভাবনা তৈরি করতে পারলেও কাজ হতে পারে।